রাজধানী ঢাকার বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে মহম্মগ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের চারপাশে তো বন্ধুভাবাপন্ন দেশ নেই।
ভারত-বাংলাদেশ দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাতে আবার নতুন করে ফাটল বাড়িয়ে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সরকার। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ঠ ইউনুস সককারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে মহম্মগ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনি উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশের চারপাশে তো বন্ধুভাবাপন্ন দেশ নেই। তাদের সব সময় চেষ্টা থাকে বাংলাদেশকে হেয় করা, একটা ঘটনা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখা, এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করা।'শেখ হাসিনার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল সেই আন্দোলনের অন্যতম ছিলেন আসিফ নজরুল। বিএনপি ও জামাতের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে চলার ব্যাপারেও তিনি ছিলেন যথেষ্ট উদ্যোগী।
আসিফ নজরুল মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী। তিনি বরাবরাই পাকিস্তানপন্থী। ভারতী বিরোধী শক্তির এজেন্ট হিসেবে পরিচিত। ভারত বিরোধী জনমত গড়ে তোলার জন্যই তিনি একটা সময় দাবি করেছিলেন বাংলাদেশে ২৬ লক্ষের বেশি ভারতীয় বা হিন্দু চাকরি করে। যদিও প্রকৃত তথ্য হল বাংলাদেশে মাত্র ৮ হাজার হিন্দুই চাকরি করেন। আসিফ সমস্ত তাঁর দেশের সমস্ত হিন্দুদের ভারতী বলেও দাবি করেন। তিনি বরাবরই পাকিস্তানপন্থী হিসেবে নিজের মতামত জানিয়েছেন। তাই আসিফের মুখে ভারত বিরোধী বার্তা নতুন কিছু নয়। তবে শুধু আসিফ নন, বর্তমানে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক সদস্যই ভারত বিরোধী - পাকিস্তানপন্থী। তারা ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতেও বন্ধপরিকর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।