
ফের খবরে বাংলাদেশ। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক গর্ভবতী শিক্ষিকা শিখা রানী রায়কে তার পদ থেকে পদত্যাগ না করার জন্য জনসমক্ষে অপমান করা হয়। শুধু তাই নয়, তার প্রধান শিক্ষক, মহম্মদ বিলাল, একজন হিন্দু হিসাবে তার ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেয়। শিখা রানী রায়কে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছিল। তিনি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে এবং পদত্যাগ করতে অস্বীকার করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার উপর হামলা করা হয় এবং রাস্তায় শোভাযাত্রা কর তাঁকে রীতিমত রাস্তায় হাঁটানো হয়।
একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মুসলিমদের ভিড়ে ওই গর্ভবতী শিক্ষিকা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁকে রীতিমত লাঞ্ছনা করা হচ্ছে। নেটিজেনরা বলছেন এই দৃশ্য শুধু ভয়ঙ্করই না, বাংলাদেশে সমাজে ধর্মীয় বৈষম্যের তীব্রতাও তুলে ধরে।
ধর্মীয় লাগাতার বৈষম্য
এই ঘটনা বাংলাদেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, এবং এই ধরনের ঘটনা সেই চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। স্থানীয়রা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করেছে।
বিচারের দাবি
এই নৃশংস হামলা নেট দুনিয়ায় এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। শিখার বিরুদ্ধে সংঘটিত বর্বরতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মানুষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া যায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখনও ন্যায়বিচারের দাবির প্রেক্ষিতে সাড়া দেয়নি, কিন্তু এই ঘটনা ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষার গুরুত্বকে নির্দেশ করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।