হাসিনার ত্রাসের 'আয়নাঘর' -কঠোর অত্যাচার থেকে গুম করা - সবই ছিল জলভাত

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য তৈরি আয়নাঘর ছিল ত্রাসের প্রতীক। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘরে বন্দিদের রেখে নির্যাতন করা হত এবং অনেকেরই অজ্ঞাত পরিণতিতে মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাস ছিলেন রাজনৈতিক বন্দিদের। স্থানীয়দের কথায় বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারছিলেন না। আর সেই কারণে রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য তৈরি করেছিলেন আয়না ঘর। যা ছিল রাজনৈতিক বন্দিদের কাছে ত্রাস বা বিভীষিকাময়। ২০১৬ সালের ২১ অগস্ট ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর ঢাকার মিরপুরের বাসভবন থেকে। সেই থেকেই ব্যারিস্টার বন্দি হাসিনার তৈরি আয়নাঘরে। প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আজমিকে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে গ্রেফতার করেছিল হাসিনা সরকার। তাকেও রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের একটি গোপন কারাগারের আয়নাঘরে।

কী এই আয়নাঘর- যা রীতিমত ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজনৈতিক বন্দিদের কাছে। আয়নাঘর থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দিরা সেই ঘর সম্পর্কে খুব কম কথা বলে। কারণ প্রবল সাজা পাওয়ায় তারা রীতিমত ভীত আর সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের ডেইলি অবজারভার জানিয়েছে, আরমান ও আজমি দুজনেই ৬ অগাস্ট আয়নাঘর থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘ ৮ বছর বিনা বিচারে বন্দি ছিলেন। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে এখন আলোচনায় তার তৈরি য়নাঘর।

Latest Videos

ঢাকার আয়নাঘর-

হাসিনার তৈরি বিরুদ্ধ রাজনৈতিক কর্মীদের গুমঘর। প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করার একটি উপায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৩টি গোপন আটক কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি রয়েছে ঢাকায়। ঢাকার সেনা নিবাসে আয়নাঘর একটি রহস্যময় স্থান। সেখানে বন্দিদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

আয়নাঘর পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স। অনেকে আবার বলে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য নয় , চরমপন্থীদেরও আয়নাঘরে আটকে রেখে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হত।

২০২৪ সালের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট অনুযায়ী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার বছর, ২০০৯ সাল থেকে তাঁর পতন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬০০টিরও বেশি গুম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী আয়নাঘর থেকে খুব কম বন্দি মুক্তি পেয়েছে। তবে কিছু বন্দিকে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হয়। অনেকেই আবার এনকাউন্টারের শিকার হয়। বাংলাদেশে এজাতীয় ঘটনার তদন্ত প্রায় হয় না বললেই চলে।

আয়নাঘরে রাখা অনেকেই দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মারা যায়। তারপর লাস সরিয়ে দেওয়া হয়। যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের খাতায় কমলে কোনও তথ্য রাখা হয় না। সেনা বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশের পুলিশও আয়নাঘরের বেশ কিছু দায়িত্ব পালন করে। তবে যারা হাসিনার আস্থাভাজন তারাই আয়নাঘরের দায়িত্ব পেতেন। আয়নাঘরের বন্দিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখা করা বা যোগাযোগের কোনও আইন ছিল না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
Mamata Banerjee : 'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
Mamata Banerjee: 'মোদী কিছু দেয় নি আমি ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছি' বিতর্কিত মন্তব্য মমতার