ভারতের গোপন আস্তানায় শেখ হাসিনার ১০০ দিন, কোথায় কীভাবে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের সবথেকে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা চ্যুত হয়ে তড়িঘড়ি বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন।

সূত্রের খবর ছিল হাসিনা ভারতে বেশি দিন থাকবেন না। তিনি চলে যাবেন ব্রিটেন বা অন্য কোনও দেশে। কিন্তু বিশ্বের কোনও দেশই তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। সূত্রের খবর এখনও তিনি ভারতের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।ন।

ক্ষমতা হারানোর পর ভারতে আসেন হাসিনা। তাঁর C-130J হারকিউলিস ল্যান্ড করেছিল ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে। সূত্রের খবর সেখানে প্রায় দুই দিন নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছিল। তারপরই সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

শেখ হাসিনার কাছে দিল্লি কিন্তু কোনও নতুন শহর নয়। ১৯৭৫ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় তাঁর বাবা মুজিবর রহমানকে পাকিস্তানি সেনা হত্যা করার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হাসিনারা ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।

সেই সময় টানা ৬ বছর ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসিনা। তাঁর পরিবারও সেই সময় ছিল ভারতে। ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপদ আশ্রয়। সেই সময় তাঁদের দেখভাল করতেন প্রবণ মুখোপাধ্য়ায়।

সূত্রের খবর দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি বাংলাকেই সেফ হাউস তৈরি করে রাখা হয়েছে হাসিনাকে। সেই বাংলা ঘিরে রাখা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। সমস্ত প্রোটোকল মেনেই হাসিনার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এটি দিল্লির অভিজাত এলাকা। এখানে সাংসদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা থাকেন। গোটা এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করা থাকে।

একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে হাসিনা লুটিয়েন্সের বাংলো জোনে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে। অনেক প্রতিবাদনে আবার দাবি করা হয়েছে, লুটিয়েন্স বাংলো জোনে তাঁকে মর্নিংওয়াক করতেও দেখা গিয়েছে।

কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ পোশাকের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঘিরে রয়েছে। একজন বিষিষ্ট ব্যক্তি যে সুরক্ষা পান সেই সুরক্ষাই তাঁকে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সরকার। হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদনও জানিয়েছে তাঁরা