আবারও অশান্ত বাংলাদেশ। এবার উত্তপ্ত চট্টোগ্রাম। গত কয়েক দিন ধরেই স্থানীয় আদিবাসী চাকমা ও অন্যান্য জনজাতির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে এদিন বনধ ডাকা হয়েছে।
Saborni Mitra | Published : Sep 21, 2024 9:59 AM IST
উত্তপ্ত বাংলাদেশ
শেখ হাসিনার পতনের পরেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। নতুন করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি চট্টোগ্রামের।
হামলা চট্টোগ্রামে
আদি বাসিন্দা চাকমা এবং অন্যান্য জনজাতি গোষ্ঠীর উপর গত ৭২ ঘণ্টা ঘরে ধারাবাহিক হামলা চলছে। খুন হয়েছেন অন্তত ১০ জন অমুসলিম। পোড়ানো হয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, কুকি, ব্রু এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজারেরও বেশি বাড়িঘর, ধর্মস্থান, দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
নিশানায় সেনা ও কট্টরপন্থী মুসলিম
এই হামলার ঘটনায় অভিযোগের তীর সেনা বাহিনীর দিকে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে অবশ্য রয়েছে কট্টর মুসলিমরাও।
প্রতিবাদে বনধ
হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা উউপিডিএফ শনিবার বনধের ডাক দিয়েছে।
বিপর্যস্ত জনজীবন
স্থানীয়দের ডাকা বনধের প্রভাব পড়েছে পার্বত্য চট্টোগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দারবন, রাঙামাটিতে।
৭২ ঘণ্টা অবরোধ
বনধের পাশাপাশি ৭১ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচিও রয়েছে। চট্টোগ্রামের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
সংগঠনের অভিযোগ
বাংলাদেশেরসেনা, বিজিপি, ব়্যাব বাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনের আছিলায় অমুসলিমদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের সেনা বৌদ্ধদের ওপর গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ।
নিশানায় বৌদ্ধরাও
বাংলাদেশের সেনা বাহিনী ও মুসলিমদের নিশানায় রয়েছে স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও। এরা মূলত চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
নিহত ১০ জন
শুক্রবার থেকে চলা হিংসার কারণে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র চট্টোগ্রামে নিহত হয়েছে ১০ জন অমুসলিম।
ভারতের সাহায্য প্রার্থনা
ইতিমধ্যেই স্থানীয় অমুসলিমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে। হিংসা দমনের আছিলায় শুধুমাত্র অমুসলিমদের নিশানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।