ব্রিটিশ ঐতিহ্য মেনে রাজা তৃতীয় চার্লসের বর্ণাঢ্য রাজ্যাভিষেক, দেখুন সেরা ১০টি ছবি
হাজার বছর পুরনো প্রথা আর ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐ্রতিহ্য মেনেই রাজা তৃতীয় চার্লসের বর্ণাঢ্য রাজ্যভিষেক হল। ১৪টি কমনওয়েল্থ দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রাজমুকুট পরলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্যামেলিয়া।
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ২৩০০ জন শক্তিশালী রাষ্ট্রপ্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে গর্ড সেভ দ্যা কিং স্লোগান উঠল। রাজপরিবারে ঐতিহ্যবাহী রাজ সিংহাসনে বসলেন রাজা তৃতীয় চার্লস। একই সঙ্গে বেজে উঠল ট্রাম্পেট।
গির্জাগুলিতে উদযাপন
বাইরে আনুষ্ঠানিক বন্দুক স্যালুট হল। সমুদ্রে প্রতিক্ষারত জাহাজও রাজাকে সংবর্ধনা জানায়। দেশজুড়ে গির্জায় ঘণ্টা বাজল একই সময়।
চার্লসের রাজ্য অভিষেক
আগেই চার্লসকে রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ব্রিটিশ জনগণ। কিন্তু প্রথা মেনে আনুষ্ঠানিক রাজ্যভিষেক হল শনিবার। যা নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ছিল উৎসবের মেজাজ।
প্রথা ভাঙা রাজ্য অভিষেক
বদলাচ্ছে সময়। তাই জানান দিল ব্রিটিশ রাজার রাজ্য অভিষেকে। নারী বিশপরা প্রথমবারের মত অংশ গ্রহণ করল। ব্রিটেনের অ-খ্রিস্টান ধর্মের নেতারা ছিলেন যখন এর সেল্টিক ভাষা - ওয়েলশ, স্কটিশ গেলিক এবং আইরিশ গ্যালিক - বিশিষ্টভাবে বৈশিষ্ট্যযুক্ত
বাবাকে শ্রদ্ধা
কর্ফু দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন চার্লসের বাবা প্রয়াত প্রিন্স ফিলিফ। এদিন রাজ্যাভিষেকের আগে প্রয়াত পিতাকে শ্রদ্ধা জানান চার্লস।
রাজা হিসেবে চার্লসের দায়িত্ব
রাজা হিসেবে চার্লস চার্চ অব ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গর্ভনর নিযুক্ত হন। তিনি নিজেরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অ্যাংলিকান খ্রিস্টান হিসেবে বর্ণনা করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁর মা এলিজাবেথ দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় ধর্মীয় ও জাতিগত বৈষম্য বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল।
প্রথায় পরিবর্তন
রাজ্যাভিষের থিমগুলি জীববৈচিত্র ও স্থায়িত্বের প্রতি তাঁর আজীবন আগ্রহকে প্রতিফলিত করেছে। আগের রাজ্যাভিষের যে আনুষ্ঠানিক পোশাক ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলি আবারও এদিন ব্যবহার করা হয়।
ঋষি সুনাকের উপস্থিতি
ব্রিটেনের প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উপস্থিত ছিলেন রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে। তিনি বাইবেল পাঠ করেন। বলেন রাজ্যাভিষেক তাঁদের দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের অভিব্যক্তিকে আরও গর্বিত করে।
রাজার বার্তা
দেশের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দেন রাজা তৃতীয় চার্লস। রানিকে নিয়ে তিনি বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের বাইরে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন। পাশাপাশি বিশ্বের রাজপরিবারগুলিকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল।
রাজার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
ব্রিটেনের একাধিক সংগঠন রয়েছে যারা রাজপরিবারের বিলুপ্তি চায়। আর সেই জন্য দীর্ঘ আন্দোলন করেছে। এদিনও তারা আন্দোলন করে। পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে।