চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করল রাশিয়া, এবার কি পরমাণু যুদ্ধের সাক্ষী থাকবে বিশ্ব

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইটারে বলেছেন, "আমাদের সেনা তাদের জীবন দিচ্ছে যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না হয়, এটি সমগ্র ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা।"

Parna Sengupta | Published : Feb 24, 2022 10:28 PM IST / Updated: Feb 25 2022, 03:59 AM IST

চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (Chernobyl nuclear power plant) রুশ বাহিনীর হাতে। বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক (Ukrainian presidential office, Mykhailo Podolyak)। তিনি বলেন "রাশিয়ানদের সম্পূর্ণ অর্থহীন আক্রমণের পরে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরাপদ বলা অসম্ভব।" ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি চেরনোবিল এখন মস্কোর কব্জায়। পোডোলিয়াক বলেন " ইউক্রেনের ওপর হামলা  ও চেরনোবিল দখল ইউরোপের সবচেয়ে গুরুতর ও ভয়াবহ হুমকিগুলির মধ্যে একটি।" 

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইটারে বলেছেন, "আমাদের সেনা তাদের জীবন দিচ্ছে যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না হয়, এটি সমগ্র ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা।" ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউক্রেনের চেরনোবিল শহরে ঘটেছিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা। ওই দুর্ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর পারমাণবিক দুর্ঘটনা বলা হয়। ওই দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয় লাখো মানুষ। আজও চেরনোবিলের ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি পরিষ্কার করা যায়নি। এখনও সেখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ রয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সব কিছু পরিষ্কার করে ২০৬৫ সালের আগে সম্পূর্ণ ভাবে সেটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা সম্ভব নয় বলে দাবি তাঁদের।

এপ্রিলে সেখানকার চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে দেড় লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের বেশি অঞ্চলে। হিরোশিমা-নাগাসাকির তুলনায় চেরনোবিল থেকে ৫০০ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায় বলে জানা যায়।  রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ এমনকি চিন এবং আমেরিকাতেও তার প্রভাব টের পাওয়া গিয়েছিল।

এদিকে,ভারতীয় সময় সকাল ৮ নাগাদ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার কথাও বলেন। এদিকে একইসময়ে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বৈঠক চলছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যখন প্রথমবার রাশিয়া ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। বর্তমানে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর পর প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিয়ে পুতিনের কড়া নিন্দা করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। 

বাইডেন বলেন ইতিমধ্যেই আমেরিকার মিত্র দেশগুলি চারটি বড় রাশিয়ান ব্যাংকের সম্পদের লেনদেন আটকে দিয়েছে। বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করেছে। রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পথ রাশিয়ার উচ্চ প্রযুক্তির আমদানির অর্ধেকেরও বেশি বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। 

Read more Articles on
Share this article
click me!