চিন অগাস্টে এই পরীক্ষাটি করেছিল। কিন্তু তার বিস্তারিত তথ্য অক্টোবর মাসে প্রকাশ করা হয়েছে।
চরম ব্যর্থ চিন(China)। পারমাণবিক অস্ত্রযুক্ত হাইপারসনিক মিসাইলের (nuclear-capable hypersonic missile) পরীক্ষা করেছে বেজিং। সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন অগাস্টে এই পরীক্ষাটি করেছিল। কিন্তু তার বিস্তারিত তথ্য অক্টোবর মাসে প্রকাশ করা হয়েছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি(Hypersonic missiles) শব্দের গতির চেয়ে দ্রুত আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে। নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের এই পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে(missile test failed)।
রিপোর্টে বলা হয়েছে চিন একটি পারমাণবিক অস্ত্রযুক্ত হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করে। এই মিসাইল গোটা বিশ্ব একবার পাক খায়। নিজের লক্ষ্যের দিকে দ্রুত গতিতে যাওয়ার আগে বিশ্বজুড়ে প্রদক্ষিণ করে চিনের মিসাইল বলে সূত্রের খবর। এই মিসাইল পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিনান্সিয়াল টাইমস শনিবার এই তথ্য প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী অগাস্টের পরীক্ষায় দেখা গেছে যে চিনের এই মিসাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তাহলে কী নতুন শক্তির খেলায় নামতে চলেছে চিন। প্রশ্ন উঠছে। চিনের এই মিসাইল নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি তার লক্ষ্যটি মিস করেছে। তবে বেজিংয়ের এই মিসাইল তৈরির লক্ষ্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া নয় বলেও ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এই গোটা ঘটনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
এই মিসাইল এমন সময়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, যখন চিন তাইওয়ানের চারপাশে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, ওই দ্বীপরাষ্ট্রের কাছাকাছি কয়েকশ যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। একই সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি বন্ধু দেশে নৌ মহড়াও শুরু করে। চিনের মিসাইল পরীক্ষা ব্যর্থ হলেও, তাদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারত বারবার সীমান্তে চিনের দখলদারি মনোবৃত্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। ভারতের দাবিতে এই ঘটনার পর সিলমোহর পড়ল বলাই যায়।
দিন কয়েক আগেও, ভারতীয় সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। নারাভানে স্বীকার করেন যে এলএসি-তে চিনা সেনার উপস্থিতি উদ্বেগের বিষয়, কিন্তু তিনি আরও বলেন যে 'পিএলএ যদি সেখানে থাকে, আমরাও থাকব'। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা যেন ভুলেও চিন না করে। চিনকে জবাব দিতে সবসময় তৈরি ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এখনও পর্যন্ত সমস্যা রয়েছে দক্ষিণ ডেমচোকের দোপসাং, বালড, চারডিং নুল্লা জংশন এলাকায়। হট স্প্রিং এলাকা থেকেই দুই দেশের সেনা প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পূর্ব লাদাখ এলাকায় ভারত-চিন দুই দেশের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য হটস্প্রিং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আগেও এই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) ৫০ জন সদস্য এই এলাকায় ১৫ নম্বর পয়েন্টে টহল দিচ্ছে। পাল্টা এই এলাকা ভারতীয় সেনারাই অবস্থান করছে। কার্যত দুই দেশের সেনা জওয়ানরা মুখোমুখি অবস্থান করছে।