চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ চ্যানেল সিসিটিভি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনের উত্তরে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক কখনই সামরিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে পারে না।
'যুদ্ধ কারও স্বার্থে হতে পারে না'- শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে আলোচনার সময় এমনটাই বলেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং (Xi Jinping)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-Ukraine war) নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলির উদ্বেগের কথা জানানোর পাশাপাশি রাশিয়ার সমালোচনা করার জন্য বেজিং-এর ওপর চাপ দিয়েছিলেন বাইডেন। একই সঙ্গে চিনকে রাশিয়ার বিরোধী ক্যাম্পেও নিয়ে আসার একটা প্রচ্ছন্ন চেষ্টা ছিল। মার্কিন সময় অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বাইডেন ফোন করেছিবেন শি জিংপিংকে। মাত্র তিন মিনিট কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে।
চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ চ্যানেল সিসিটিভি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনের উত্তরে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক কখনই সামরিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে পারে না। পাল্টা আমেরিকার প্রেসিডেন্টে বাইডেন বলেছেন এই অবস্থায় চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ আন্তর্জাতিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া। বাইডেন আরও বলেছেন, শান্তি ও নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবথেকে মূল্যবান সম্পদ।
তবে শি জিংপিং-বাইডেনের কথাবার্তা থেকে এখনও স্পষ্ট নয় যে ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে চিন। বা বেজিং সরাসরি ক্রেমলিনের সমালোনা করবে। কিন্তু চিন নিয়ে এখনও পর্যন্ত আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চিন-মার্কিন প্রেসেডিন্টের এই ফোনালাপের পরই মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান বলেছেন চিনকে বুঝতে হবে আগামী দিনে শুধুমাত্র রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেই চলবে না। তাদের ইউরোপের দেশগুলির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে হবে।
তবে এখনও পর্যন্ত বেজিং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেনি। পাল্টা একাধিক ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে দাঁড়ায়ে তাঁকে দরাজ সমর্থন করে গেছে। রাশিয়ার ওপর চাপানো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞারও তীব্র সমালোচনা করেছেন চিনের উচ্চপদস্থ আমলারা।
তবে এদিনে ফোনের সময় বাইডেন চিনেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনও হুমকি দেবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও সেই পথেই হাঁটেননি বাইডেন। বাইডেন আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে রাশিয়ার আগ্রাসন সমর্থন করার জন্য চিন যে পদক্ষেপ নেবে তার দায় বেজিংকেই নিতে হবে। আমেরিকার কোনও দায় থাকবে না। এর আগে রাশিয়ার ইস্যুতে মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান কূটনীতিক ইয়াং জেইচি রোমের হোয়াইট হাউসে প্রায় সাত ঘণ্টার একটি বৈঠক করেছিলেন। তারপরই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে 'আনুষ্ঠানিক' সম্পর্ক স্থাপন, রাষ্ট্র সংঘে ভোট দিল না রাশিয়া
আরও বিধ্বংসী রাশিয়া গুঁড়িয়ে দিল ইউক্রেনের স্কুল, যুদ্ধে সামিল চেচেনাও