তিব্বত ওয়াচের এক গবেষক পেমা গয়াল বলেছেন, চিন আক্রমণাত্মকভাবে কৌশল নিয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। সেইজন একটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন চিনের এই নীতির কারণে ২০১৭ -০২২১ সাল পর্যন্ত নির্বাসিতরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না।
দ্রাগ্যাব কাউন্টি ও চামদোরের যেসব তিব্বতিরা (Tibetan), যাদের সঙ্গে বিদেশের যোগাযোগ রয়েছে এবার তাদের ওপর কড়া নদরদারি ব্যবস্থা করছে চিন (China)। সূত্রের খবর নির্দিষ্ট ও বিশিষ্ট কয়েকজনের সোলফোনে স্পাইওয়্যাল ইনস্টল করার নির্দেশ দিয়েছে বেজিং। যেসব তিব্বতির সঙ্গে বিদেশের যোগ রয়েছে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি চালান হচ্ছে। সূত্রের খবর এটাই চিনা প্রশাসনের নজরদারির নয়া কৌশল।
ভারতের ধর্মশালায় বহু তিব্বতি উদ্বাস্তু হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছে। ধর্মশালার তিব্বতিদের একটি গবেষণা রিপোর্ট এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাঁদের মতে তিব্বতের তিব্বত ওয়াচের স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে যে সেলফোনে স্পাইওয়্যাল ব্যবহার করছে বেজিং। তিব্বতের যেসব মানুষরা নির্বাসিত হয়েছে তাদের সঙ্গে তিব্বতের বাসিন্দাদের যোগাযোগ কতটা রয়েছে আর কী কী কথাবার্তা হয় তাই জানতে মরিয়া চেষ্টা করেছে চিনের কমিউনিস্ট প্রশাসন।
তিব্বত ওয়াচের এক গবেষক পেমা গয়াল বলেছেন, চিন আক্রমণাত্মকভাবে কৌশল নিয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। সেইজন একটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন চিনের এই নীতির কারণে ২০১৭ -০২২১ সাল পর্যন্ত নির্বাসিতরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। এই অবস্থায় বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেলে সেই ব্যক্তিও সরকারের কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, একটি বৌদ্ধ মঠে চিনা প্রশাসনের অধিকর্তারা সন্ন্যাসীদের সতর্ক করেছে। সংশ্লিষ্ট সন্ন্যাসীদের বলা হয়েছে তাদের কাছে এমন কোনও তথ্য যদি থাকে যে চিন সরকার বিপদে পড়তে পারে তাহলে তৎক্ষণাত প্রশাসনকে তা জানাতে হবে। চিন সরকার স্থানীয়দের প্রতিটি গতিবিধির ওপর নজর রাখছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এই অবস্থায় তিব্বতিরা রীতিমত আশঙ্কিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল। তিব্বতের বাইরে বসবাসকারীদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগাযোগ, ফটো ও ভিডিওগুলি যদি পুলিশের হাতে যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বিচারে দুই থেকে তিন মাসের জন্য আটকে রাখে হয়। মুক্তির পরেই চিনা প্রশাসনের নদরদারী চলে। ড্রোগো মঠে বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের ছবি ও ভিডিও ফোনে থাকার জন্য তিন জন তিব্বতিকে জানুয়ারি থেকেই আটক করে রাখা হয়েছে। তীর্থযাত্রায় যাওয়া দুই তিব্বতির ফোনে ঘেঁটে দেখে চিনা প্রশাসন। তারপর তিন জনকে আটকে রাখা হয়েছে।