ভারত মহাসাগরে একের পর এক নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করছে চিন
এতে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতি বিঘ্নিত হবে
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নৌ-সমর বিশেষজ্ঞরা জোর দিলেন কোয়াড-কে সুগঠিত করার উপরে
বিস্ময়কর ভাবে শ্রীলঙ্কাও চিনের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিল
দীর্ঘদিন ধরে ভারত মহাসাগরে একের পর এক নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করে আসছে চিনা পিএলএ। ভারত মহাসাগরে চিনের এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতি বিঘ্নিত করবে বলেই সোমবার একমত হলেন ভারত অস্ট্রেলিয়া এমনকী শ্রীলঙ্কার নৌ-সমর বিশেষজ্ঞরা। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া গত কয়েক বছর ধরেই ধীরে ধীরে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করছে। তবে এই বিষয়ে শ্রীলঙ্কার অন্তর্ভুক্তি বেশ বিস্ময়কর, বিশেষ করে, সেখানকার বর্তমান শাসকরা মোদী সরকারের বিরোধী বলেই শোনা যায়। কূটনীতিকরা মনে করছেন, চিনের চাপেই এই শিবিরে নাম ভেরাতে চাইছে শ্রীলঙ্কা।
এদিন এক ওয়েব সম্মেলনে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নৌ-সমর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির অতিরিক্ত সচিব তথা শ্রীলঙ্কার নৌসেনার প্রাক্তন কমান্ডার জয়নাথ কলম্বেজ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তাদের হাম্বানটোটা বন্দরের উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তি করেছিল চিন। এখন সেই বন্দরের ৮৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব চিনের দখলে রয়েছে। এটিকেও চিন তাদের নৌসেনার ঘাঁটি বানাবে বলে মনে করা হয়। এই বিষয়ে শ্রীলঙ্কারও আপত্তি নেই বলেই মনে করা হত।
এদিন কিন্তু, জয়নাথ কলম্বেজ সাফ জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে যা ঘটছে তাতে তাঁর দেশ মোটেই খুশি নয়। তিনি বলেন, অংশীদারী বেশি থাকলেও, হাম্বানটোটা শ্রীলঙ্কারই বন্দর, চিনা বন্দর নয়। ভারতের সুরক্ষার পক্ষে হুমকির হতে পারে এমন কোনও সামরিক উদ্দেশ্যে অন্য কোনও দেশকে, শ্রীলঙ্কার এক ইঞ্চি জমি-ও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
এই সম্মেলনে ছিলেন ভারতের ভাইস-অ্যাডমিরাল কৌশিভা এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কলেজের গবেষক তথা দক্ষিণ এশীয় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ডেভিড ব্রুস্টার। দুজনেই, চিনা আগ্রাসনের ফলে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠবে বলে ভয় পাচ্ছেন। এই অবস্থায় আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কোয়াড শক্তিকে 'সম্প্রসারণবাদী চিন'এর উত্থান রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।