ট্রেনটি ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফোর্স ব্যবহার করে। যার অর্থ ট্রেনের বডি ও রেলের মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছাড়াই এটি দ্রুত গতিতে ছুটে চলবে। চিনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এই খবর দিয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্বের সবথেকে দ্রুতগামী ট্রেন তৈরি করতে চলেছে চিন। আগামী দিনে এটি হতে চলেছে বিশ্বের দ্রুততম স্থল যান। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেনটি চলবে। চলবে না বলে ছুটবে বলাই শ্রেয়। বেজিং থেকে সাংহাই পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২ ঘণ্টা ৫ মিনিট। এই দুটি এলাকার দূরত্ব ১ হাজার কিলোমিটার বা ৬২০ মাইলের বেশি। বিমানে বেজিং থেকে সাংহাই যেতে সময় লাগে মাত্র ৩ ঘণ্টা। যার অর্থ ট্রেনটি বিমানের তুলনায় প্রায় ৫৫ মিনিট আগেই গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারবে যাত্রীদের। আর চিনে এখন যেসব হাইস্পিড ট্রেনে চলে তাতে সাংহাই থেকে বেজিং যেতে সময় লাগে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মত। যার অর্থ বিমানের সময়কেও হার মানাতে চলেছে চিনের নতুন ট্রেন।
ট্রেনটি ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফোর্স ব্যবহার করে। যার অর্থ ট্রেনের বডি ও রেলের মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছাড়াই এটি দ্রুত গতিতে ছুটে চলবে। চিনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এই খবর দিয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনটি তৈরি হয়েছে উপকূলীয় শহর কিংদাওতে। এটি আগামী দিনে বিশ্বের দ্রুততম স্থল যানের মর্যাদা পাবে বলেও দাবি করা হয়েছে চিনা মিডিয়ার পক্ষ থেকে।
ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফোর্সের ব্যবহার চিনে কোনও নতুন ঘটনা নয়। প্রায় দুই বছর ধরেই এজাতীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বেশি কিছু ক্ষেত্রে করছে চিন। সাংহাইয়ের একটি বিমানবন্দর থেকে শহর পর্যন্ত ছোট্ট একটি ম্যাগলেভ লাইনও রয়েছে। চিনের প্রতিবেশী জাপানও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু চিনের মত এতটা বেশি পরিমাণে নয়। এজাতীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ম্যাগলেভ নেটওয়ার্কের প্রয়োজন হয়। যা ব্যায়ভার অনেকটাই বেশি। পুরো নেটওয়ার্ক যদি তৈরি না করা হয় তাহলে বর্তমান ট্র্যাক ও অবকাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা দ্রুত উন্নয়নের পথে বাধা হয়েও দাঁড়়াতে পারে। তবে ম্যাগলভ খুবই টেকসই একটি প্রযুক্তি। যদিও চিনে এখনও পর্যন্ত আন্তঃপ্রদেশ ম্যাগলেভ লাইন নেই- যেখান দিয়ে এই উচ্চ গতির ট্রেন চলবে। তবে সাংহাই থেকে চেংড়ু পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শহরে সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে গবেষণা।