তাইওয়ান ইস্যুতে কোনও বিদেশী দেশের হস্তক্ষেপ চিন মেনে নেবে না। চিন বরাবরই তাইওয়ানকে তার অংশ বলে দাবি করে আসছে। তাই যখন থেকে মার্কিন সেনেটর ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছেন এবং তাইওয়ানকে আমেরিকার সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন, তখন থেকেই ফুঁসছে চিন।
মার্কিন সিনেটর ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে তোলপাড় চিনে। আমেরিকার এই পদক্ষেপে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি আগে থেকেই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে চিন। এবার ন্যান্সি পেলোসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ন্যান্সি পেলোসিও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন চিনকে। তিনি বলেন চিন কোনওভাবেই আমেরিকাকে তাইওয়ানে যাওয়া থেকে আটকাতে পারবে না।
তাইওয়ান ইস্যুতে কোনও বিদেশী দেশের হস্তক্ষেপ চিন মেনে নেবে না। চিন বরাবরই তাইওয়ানকে তার অংশ বলে দাবি করে আসছে। তাই যখন থেকে মার্কিন সেনেটর ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছেন এবং তাইওয়ানকে আমেরিকার সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন, তখন থেকেই ফুঁসছে চিন।
পেলোসির উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা
চিনের বিদেশমন্ত্রক শুক্রবার মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে। মন্ত্রক বলেছে যে পেলোসি তার সফরের সাথে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতরভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন এবং চিনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে চিন খুব বেশি তথ্য জানায়নি।
জি-৭-এর বিরোধিতায় ক্ষিপ্ত ড্রাগন
চিনের বিদেশমন্ত্রক বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে কম্বোডিয়ায় আসিয়ান ইভেন্টের ফাঁকে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং জাপানের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে একটি বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে, মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, তাইওয়ানের বিষয়ে গ্রুপ অফ সেভেনের যৌথ বিবৃতিতে চিন বেশ বিরক্ত।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ক্রমশই বাড়ছে। চিনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ন্যান্সি তাইওয়ান সফর করেন। তবে ন্যান্সি পেলোসি জানিয়ে ছিলেন তাঁর এই সফর কোনওভাবেই চিনের কাছে হুমকি হতে পারে না। আমেরিকা গণতন্ত্রকে সমর্থন করে তা বোঝাতেই তাঁর তাইওয়ান সফর। অন্যদিকে ওয়াশিংটন জানায় ন্যান্সির এই সফর তাইওয়ান আর আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করার একটি রাস্তা।
তবে চিনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় তাইওয়ান কার্ড ইচ্ছা করেই খেলছে আমেরিকা, যা কখনই বরদাস্ত করা হবে না। আমেরিকার এই বিষয়ে নাক গলানো চিন যে মেনে নেবে না তা হুঁশিয়ারি দিয়ে ইতিমধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে। বেজিংয়ের দাবি চিনকে উস্কাতেই পেলোসির এই তাইওয়ান সফর। কারণ মার্কিন হাউস স্পিকারের তাইওয়ানের মাটিতে পা রাখার অর্থ ওয়ান চিন নীতিতে জোর ধাক্কা দেওয়া। তাইওয়ান ইস্যু একেবারেই চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অবস্থান পরিষ্কার করেছে বেজিং।