পাকিস্তানে 'নিরাপদ আশ্রয়ে'দাউদের ভাইপো সোহেল কাসকর, তার ওপর নজর রেখেছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা

Published : Jan 13, 2022, 09:15 PM IST
পাকিস্তানে 'নিরাপদ আশ্রয়ে'দাউদের ভাইপো সোহেল কাসকর, তার ওপর নজর রেখেছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা

সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দীর্ঘ দিন ধরেই ট্র্যাক করছিল সোহেল কাসকরকে। মাদক সন্ত্রাসের জন্য সোহেলকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন সংস্থা। সেই সময় তারই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল দানিশ আলিকে। 

ভারতের গোয়ান্দা সংস্থার চোখে ধুলো দিয়ে দুবাই থেকে সোজা পাকিস্তানে (Pakistan) পৌঁছে গেল দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim)ভাইপো সোহেল কাসকর (Sohail Kaskar)। শোনা যায় ১৯৮৯ সালে ভারত ছেড়ে পালিয়েগিয়েছিল সোহেল কাসকর। তার বাবা দাউদের বড় ভাই নূরা, ২০০৯ সালে পাকিস্তানেরই একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল নূরের। সোহলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার, কলম্বিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়াসহ একাধিক গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আমেরিকায় হেরোইন পাঠানোর জন্য ২০১৪ সালে  স্পেন থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল। একবছর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান হয়।  সেখানে কিছুদিন জেল খেটে ছাড়া পায় হোসেন। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল। 

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দীর্ঘ দিন ধরেই ট্র্যাক করছিল সোহেল কাসকরকে। মাদক সন্ত্রাসের জন্য সোহেলকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন সংস্থা। সেই সময় তারই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল দানিশ আলিকে। প্রত্যাপর্ণ চুক্তির মাধ্যমে তাকে সম্প্রতি ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। মুম্বই পুলিশ আসা করেছিল সোহেলকেও ভারতে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু তার আগেই সোহেল পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে যায়। 

ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থা সূত্রের খবর সোহেল কাসকর বেশ কিছু দিন আগেই আমেরিকা ছেড়ে দুবাইতে চলে এসেছিল। সেখান থেকেই সে পাকিস্তানে চলে যায়। কিন্তু আমেরিকা থেকে সোহেল কাসকর কী করে দুবাই এসেছিল সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সে কী করে ছাড়া পেল তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোহলকে ছেড়ে দেওয়ার আগে কেন ভারতের হাতে তাকে হস্তান্তর করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির। 

একটি সূত্রের দাবি ২০০১ সালে দানিশ দুবাই গিয়েছিল। সেখানে সে কাসকরের সঙ্গে দেখা করে। একই সঙ্গে থাকতে শুরু করে। তারপর কাসকরই দানিশকে হিরে চোরাচালানের দিকে ঠেলে দেয়। নিজের হাতে রাখে মদক ব্যবসা। প্রায় তিন বছর একসঙ্গে কাজ করেছিল। সেখান থেকেই দানিশ স্টুটেন্ট ভিসা নিয়ে রাশিয়া গিয়েছিল। সেই সময়ই সোহেল দক্ষিণ অফ্রিয়াকায় হিরে চোরাচালনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। সেখানে প্রায় এক বছর জেলে ছিল সোহেল। তারপর সেখান থেকে সোহেল স্পেনে যায়। রাশিয়া থেকে দানিশও স্পেনে আসে। সেখানেই মার্কিন পুলিশের ট্র্যাক করে। স্পেনের পুলিশ গ্রেফতার করে। তারপর তাদের আমেরিকা পাঠান হয়। সেখানে কাসকরের জেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর ভারত দেশে ফেরাতে চেয়েছিল তাকে। কিন্তু কাসকরকে কীভাবে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই তাদের কাছে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিস্ফোরক বা মাদক আছে বলে সন্দেহ, লন্ডনে মহসিন নকভির গাড়ি তল্লাশি পুলিশের
LIVE NEWS UPDATE: Largest Investment in Asia - মাইক্রোসফটের বিশাল বিনিয়োগ ভারতে, যা হতে চলেছে এশিয়ায় বৃহত্তম বিনিয়োগ