রবিবার হিউস্টনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে আরও খানিকটা গতি সঞ্চার করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেইসঙ্গে হাউডি মোদীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করেই পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু হাউডি মোদী অনুষ্ঠানের পর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বৈঠকে ফেরা কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে চাইলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এক প্রকার কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়েই কাশ্মীর ইস্যুতে ফের মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এদিন ফের তিনি বলেন, ভারত এবং পাকিস্তান চাইলে তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে রাজি আছেন। এই নিয়ে তিনবার কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই প্রথম থেকেই আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু হাউডি মোমোদীর মঞ্চে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাই দেখেই বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল দাবি করেছিল, কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ভারত পাবে।
কিন্তু এদিন পাক প্রধানমন্ত্রীর ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর একটি প্রেস ব্রিফিং-এ ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, 'আমি প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। তবে এটি একটি অত্যন্ত জটিল বিষয়। এটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে দুপক্ষ চাইলেই আমি এটি করার জন্য প্রস্তুত। ' ট্রাম্প আরও বলেছেন যে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান যে কূটনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছেন, তিনি দেখতে চান যে তাদের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করছে। তিনি আরও বলেন যে, অবশ্যই তিনি দেখতে চান যে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। এবং তিনি এও চান যে, কাশ্মীরের সকল মানুষ ভাল থাকুন।
আরও পড়ুন- মোদীই পারলেন, ভাষণ শুরু হতেই হাজির ট্রাম্প, বন্ধুর কথায় বিপদ কি টের পেলেন
প্রসঙ্গত, এর আগে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে তাঁকে মধ্যস্থতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারত এবং বলে যে কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। প্রথমে বললেও পরে, কাশ্মীর ইস্যু দুই দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এতে মধ্যস্থতা করতে চান না বলে জানান ট্রাম্প।