গিনিতে মহামারির আকার নিয়েছে ইবোলা
ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের
সাত জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছে
২০১৬ সাল থেকেই এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে
করোনাভাইরাসের পর এবার কী মহামারির আকার নিতে চলেছে ইবলা? গিনি প্রজাতন্ত্রের ঘটনা সেই আশঙ্কাই আবারও বাড়িয়ে দিচ্ছে। রবিবারই ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছে এই দেশে চার জন মারা গেছে। সাত জনের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এখনও পর্যন্ত সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে গিনি প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে রোগ মোকাবিলায় সবরকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের দেশে গিনি ২০১৬ সালে ইবোলা ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল। সেই সময় ১১ হাজারেও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইবোলা সংক্রমণের পদ্ধতি
ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ মূলত প্রাণীর রক্ত, স্রাব অঙ্গ বা শারীরিক তরলের মাধ্যমে হয়। ইবোলার ভাইরাস হল ইভিডি বা EVD। স্পিলওভার ইভেন্টের পর ভাইরাস সংক্রমিত রক্ত শরীরের তরলগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মূত্র, লালা, ঘাম, বমি, মাতৃদুগ্ধ ও বীর্য। রাষ্ট্র সংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইবোলার লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরেই মানুষ কেবল ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
'আন্টি'কে সামনে রেখে ভাগ্নি মীনা হ্যারিসের প্রভাব বিস্তার, আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে হোয়াইট হাউস ...
দিশা, নিকিতা আর শান্তনু কে, কী ভাবেই বা তারা জড়িয়েছেন দিল্লির কৃষক আন্দোলন ও টুলকিট মামলায় ..
ইভিডির লক্ষণ
কোনও ব্যক্তি ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তহওয়ার পরে এই রোগের লক্ষণ হুলি ২-২১ দিনের মধ্যে যে কোনও জায়গায় দেখা যেতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণগুলির হল, জ্বর, অবসন্নতা, পেশী ব্যাথা, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যাথা,। এছাড়াও বমিবমি ভাব, ফুসকুড়, ডায়রিয়ার মত রোগও দেখা দিতে পারে। এটি ক্ষতি করে সাদা রক্তকণিকা ও প্লেটলেট সংখ্যা ও লিভারের। চিকিৎসকদের কথায় ইবলা একটি বিরল ও মারাত্মক রোগ।সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ। আক্রান্তের ২৫-৯০ শতাংশ মানুষই মারা যায়। তবে উপযুক্ত চিকিৎসা আর পথ্য পেলে রোগী ভালো হয়ে ওঠে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইবোলা ভ্যাকসিন
এইএলফুড অ্যান্জ ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ড২০১৯ সালের ডিসেম্বর ইনজেকশন যোগ্য একক ডোজ ইবোলা ভ্যাকসিন আরভিএসভি ডেবিভিকে অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন সরকারের আর্থিক সহায়তা মার্ক শার্প অ্যান্ড দোহমে কর্পোরেশন এই টিকাটি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আফ্রিকার আটটি দেশে এই টিকা অনুমোদন পেয়েছে। ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ সহ চারটি শীর্ষ স্থানীয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও মানবিক সংগঠনপ্রাদুর্ভাবের প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশ্বব্যপী ইবোলা ভ্যাকসিন স্কটপাইল স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্র সংঘের ঘোষণা অনুযায়ী সেটি সুইটজারল্যান্ডে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে পাঠান হবে।