বিতর্কের রেশ কিছুতেই কাটছে না। শনিবার ফ্রান্সের ওয়েবসাইট মিডিয়াপার্ট যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে যে রাফায়েল চুক্তি হয়েছে, তাতে দুর্নীতির ছাপ স্পষ্ট। রাফায়েল যুদ্ধবিমান নিয়ে আরও একবার বিতর্ক উস্কে উঠেছে। মিডিয়াপার্ট জানাচ্ছে ভারতকে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরোতে বিক্রিসংক্রান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, এই চুক্তির তদন্তে এক রহস্যময় ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এই ব্যক্তি নাকি ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে ডিল করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এমনকী রিপোর্টে প্রকাশ ওই ব্যক্তিকে ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ৯ কোটি টাকা) ‘উপহার’ দিয়েছে রাফায়েল নির্মাণ সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন। এই রহস্যময় ব্যক্তি সম্পর্কে জানে মোদী সরকার, তেমনই দাবি মিডিয়াপার্টের। মিডিয়াপার্ট আরও জানায়, মোদী সরকার এই তথ্য জানলেও ও দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য পেলেও, কোনও তদন্ত করেনি।
বিষয়টি নিয়ে মোটেও চুপ করে থাকতে রাজী নয় কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই চুক্তি নিয়ে সরব হয়েছেন। সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে যৌথ তদন্ত চলুক, দাবি করেছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এক বিচারককে নিয়োগ করা হয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্তের নেতৃত্ব দিতে। মিডিয়াপার্টের সাংবাদিক ইয়ান ফিলিপিন জানান, ফরাসি পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসেস, পিএনএফের আর্থিক অপরাধ শাখার সিদ্ধান্তের পর ২০১৬ সালের ভারত-ফ্রান্স চুক্তি নিয়ে ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল তদন্ত’ গত ১৪ জুন শুরু হয়।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন মোদী সরকারের দুর্নীতি এবার প্রকাশ্যে। কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই এই অস্বচ্ছ চুক্তির বিষয়ে বলে এসেছে। এবার তাতে সিলমোহর পড়ল। তবে পিছু হঠতে রাজী নয় গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ও কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্টের উল্লেখ করেন, যেখানে রাফায়েল চুক্তিকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।