জঙ্গি সংগঠন ISIL-K নতুন নেতার নজরে ভারত, একাধিক দেশকে সতর্ক করল রাষ্ট্র সংঘ

Published : Feb 04, 2021, 03:58 PM IST
জঙ্গি সংগঠন ISIL-K নতুন নেতার নজরে ভারত,  একাধিক দেশকে সতর্ক করল রাষ্ট্র সংঘ

সংক্ষিপ্ত

জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএল-কে নজরে ভারত  রয়েছে মধ্যে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ  সতর্ক করল রাষ্ট্র সংগঠনের প্রতিবেদন  নতুন নেতার সঙ্গে যোগ রয়েছে হাকান্নি নেটওয়ার্কের 

ভারতে হামলার একটি বড়সড় পরিকল্পনা করছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। খুব তাড়াতাড়ি তারা অভিযান চালাতে পরে বলেও আশঙ্ক প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। শুধু ভারত নয় অভিযান হতে পারে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাতেও। ইরাকের গ্লোবাল সন্ত্রাসবাদীদে দল ইসলামিক স্টেট অ্যান্ড লেভান্ট খোরাসানে বা আইএসআইএল-কে (ISIL-K)র  নতুন নেতা শিহাব আল মুজাহির এই পরিকল্পনার নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। শিহার আল মাজাহিরের সঙ্গে একটা সময় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল হাক্কানি নেটওয়ার্কের। রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এক প্রতিবেদনে তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আইএসএলকে যা আইএস বা দায়েশ নামে পরিচিত বিশ্ব জুড়ে। সম্প্রতি সেই জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে ১ থেকে ২ হাজার জিহাদিকে আফগানিস্তানে পাঠান হয়েছে। ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদীরা বেশ কয়েকটি প্রদেশে ঘাঁটি তৈরি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে সেনা বাহিনী মোতায়েন থাকলেও নানগারহর ও কুনার প্রদেশে জঙ্গিরা অবাধে যাতায়াত করতে পারছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে এই এলাকায় সেনা বাহিনীকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি হামলার দায় ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠন স্বীকার করে নিয়েছে। ভবিষ্যতেও রাজধানী কাবুল সহ একাধিক জায়গায় হামলার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান হয়েছে এই প্রতিবেদনে। 

কৃষক আন্দোলনে দেশের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাচ্ছে , বলার পরই রাহুলকে 'দেশদ্রোহী' বলে নিশানা বিজেপির ...

স্বাধীনতার ইতিহাসে গুরুত্ব পায়নি চৌরিচৌরার আন্দোলনকারীরা, কৃষকরাই দেশের মেরুদণ্ড বললেন মোদী ...
শাহিব আল মুজাহির ২০২০ সালে এই জঙ্গি সংগঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর এখনও মুজাহির এখনও পর্যন্ত হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। তার সঙ্গে একটি পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে। দায়িত্ব পেয়েই আফগানিস্তানের পাশাপাশি ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।  ওয়াশিংটনের বেসরকারি সংস্থা দ্যা স্টাডি অব ওয়ারের মতে হাক্কানি নেটওয়ার্ক মদত পেয়েছিল পাকিস্তানের সুরক্ষা উপাদনগুলি দিয়ে। আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি থেকে সংস্থাটি অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেছিল। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও করেছিল।  বর্তমানে তাদের ঠিকানা আফগানিস্তানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্থানের একটি নিরাপদ স্থান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই বেশ কয়েকটটি জঙ্গি সংগঠন লড়াই করেছিল। হাক্কানি নেটওয়ার্ক তাদের অন্যতম। অনেক সময় অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনকে সহযোগিতা করে এটি।

প্রতিবেদনে গুতেরেশ বলেছেন, কোভিড -১৯ মহামারির কারণে আন্তর্জাতির আইন মেনেই সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ও হিংসাত্মক চরমপন্থার  বিরুদ্ধে সদস্য দেশগুলির প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত ব্যবহারিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্র সংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে চলা স্বাস্থ্য সংকটকেও নতুন করে কাজে লাগাতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। একই সঙ্গে বলা হয়য়েছে মহামারির কারণে অর্থনৈতিক মন্দা ও সরকারি সংস্থানগুলির বিবর্তন জাতীয় সন্ত্রাসবাদী বিধোরী প্রচেষ্টাকে কিছুটা হলেও দুর্বল করতে পারে।  

PREV
click me!

Recommended Stories

গালওয়ানের বরফ গলে আরও কাছাকাছি ভারত-চিন, বাণিজ্যিক ভিসা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নয়া দিল্লির
ঋণ নিয়ে ঘি খাওয়া! পাকিস্তানের জন্য ৭০০ কোটি ডলার ঋণের প্রস্তাব মঞ্জুর, একগুচ্ছ শর্ত দিলো আইএমএফ