আর কিছুক্ষণের মধ্যে কুলভূষণ মামলার রায় ঘোষণা, এক ঝলকে মামলার গতিপ্রকৃতি

  • আন্তর্জাতিক আদালতে ঘোষণা হবে কুলভূষণ মামলার রায়
  • পাক সামরিক আদালত গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল কুলভূষণকে
  • ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানায় ভারত
  • ২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার শুনানি চলে
  • বর্তমানে পাকিস্তানি সামরিক কারাগারে বন্দি রয়েছেন কুলভূষণ যাদব 

debojyoti AN | Published : Jul 17, 2019 7:32 AM IST / Updated: Jul 17 2019, 02:53 PM IST

আর কিছুক্ষণের মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে ঘোষণা হতে চলেছে কুলভূষণ মামালার রায়। এই প্রথম উপমহাদেশের রণাঙ্গন পেরিয়ে ভারত-পাক দ্বন্দ্ব গিয়ে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক আদালতের দরবারে। আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, খারিজ হয়ে হয়ে যেতে পারে পাক সামরিক আদালতে দেওয়া কুলভূষণের ফাঁসির আদেশ। এখন দেখার, রায় বিপক্ষে গেলে পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক আদালতে বহুল চর্চিত এই মামলার বিশেষ কিছু দিনলিপি।   

 ৮ই মে ২০১৭ঃ ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা চুক্তি  অগ্রাহ্য করে কুলভূষণকে ফাঁসির আদেশ শোনানোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানায় ভারত।  মূলত দুটি বিষয়ে আবেদন জানানো হয়, 
                    ১) ফাঁসির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ 
                    ২) যতদিন না অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত আবেদনের মীমাংসা হচ্ছে আন্তর্জাতিক আদালতে, ততদিন যেন কুলভূষণের ফাঁসির আদেশ কার্যকর না করে পাকিস্তান। 

৯ই মে ২০১৭ঃ আন্তর্জাতিক আদালতের তরফ থেকে জরুরি ভিত্তিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বার্তা পাঠানো হয়, যতদিন না আন্তর্জাতিক আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত মামলার ফয়সালা হচ্ছে, ততদিন যেন কুলভূষণের ফাঁসি কার্যকর না করা হয়।  

১৫ই মে ২০১৭ঃ আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি। 

১৮ই মে ২০১৭ঃভারতের বড় জয়। আন্তর্জাতিক আদালত স্পষ্ট ভাষায় কুলভূষণের ফাঁসির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে, এবং তা কার্যকর করার জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয়। আদালত এও জানায়, কুলভূষণ মামলার নতুন করে শুনানি আন্তর্জাতিক আদালতেই হবে। 

১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ঃ ভারত প্রথম দফার মেমোরিয়াল (লিখিত আবেদন) আদালতে জমা দেয়। 

১৩ই ডিসেম্বরঃ পাকিস্তানের তরফ থেকে পাল্টা মেমোরিয়াল জমা করা হয়। 

১৯শে ডিসেম্বরঃ পাকিস্তানের অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য ভারত আদালতের কাছে ৩ মাস সময় চায়।

৫ই জানুয়ারি ২০১৮ঃ ভারতের আবেদনের বিরোধিতা করে পাকিস্তান।

১৭ই জানুয়ারি ২০১৮ঃ আদালতে ভারতের আবেদন গৃহীত হয়। আদালত দুই পক্ষকেই ৩মাস সময় দেয় তাদের দ্বিতীয় দফার মেমোরিয়াল জমা দেওয়ার জন্য। 

১৭ই এপ্রিল ২০১৮ঃ আদালতে ভারত তাদের দ্বিতীয় দফার মেমোরিয়াল জমা দেয়। 

১৭ই জুলাই ২০১৮ঃ পাকিস্তানের তরফ থেকে  আন্তর্জাতিক আদালতে রিজয়েন্ডার বা দ্বিতীয় দফার লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়। 

১৮-২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ আন্তর্জাতিক আদালতে কুলভূষণ মামলার শুনানি। 

১৭ই জুলাই ২০১৯ঃ আন্তর্জাতিক আদালতে কুলভূষণ মামলার রায় ঘোষণা ।  


 

Share this article
click me!