মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসে মৃ্তের সংখ্য়া বাড়ার সঙ্গেসঙ্গেই আরও আঁটোসাটো ব্য়বস্থা নিল ভারত। এবার চিনাদের বৈধ ভিসা বাতিল করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্য়েই যাঁরা এদেশে রয়ে গিয়েছেন, স্বাস্থ্য় ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক থেকে তাঁদের একটি হটলাইন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হল।
এদিনই চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৫। আর এদিনই চিনাদের ভারতে আসার বৈধ ভিসা বাতিল করে দিল বিদেশমন্ত্রক। সেইসঙ্গে, গত দু-সপ্তাহের মধ্য়ে চিন ঘুরে আসা বিদেশিদেরও ভিসা বাতিল করল সরকার।
গত ২ ফেব্রুয়ারিতে, কেন্দ্রীয় সরকার চিনা পর্যটকদের জন্য় ই-ভিসার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল সাময়িকভাবে। দুদিনের মধ্য়েই আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস কার্যত মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে চিনে। মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৫। সোমবারদিনই মারা গিয়েছেন ৬৪জন। আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০,৪৩৮। চিনের স্বাস্থ্য়মন্ত্রক সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে সরকারি সূত্রেই কুড়ি হাজারের বেশি আক্রান্তের খবর এসেছে, তখন বেসররকারি সূত্রে খবর, আক্রান্তের সংখ্য়া নাকি এর কয়েকগুণ। প্রকৃত সংখ্য়া লুকিয়ে রেখেছে চিন। অন্য়দিকে চিন জানিয়েছে, তাদের লুকনোর মতো কিছু নেই।
জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারির পর যাঁরা ইতিমধ্য়েই চিন থেকে এদেশে এসেছেন(নিয়মিত ভিসা বা ই-ভিসা নিয়ে), তাঁদের স্বাস্থ্য় ও পরিবার কল্য়াণমন্ত্রক থেকে একটি হটলাইন দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। একটি মেল আইডিও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস শুধু চিনেই নয়, ভারত-সহ আরও ২৫টির বেশি দেশে তা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্য়েই ভারতে তিনটি করোনাভাইরাসের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। ওই তিনজনই চিনের উহান শহর থেকে কেরালায় ফিরে এসেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি, ৬৪৭জন ভারতীয় আর সাতজন মালদ্বীপের বাসিন্দাকে চিনের উহান শহর আর হুবেই প্রদেশ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের দিল্লির কাছে মানেসরের একটি স্বাস্থ্য় শিবিরে আলাদা করে রাখা হয়েছে।