শ্রেয়ার বয়স ১৮ আর ব্রুন্দার বয়স ১৯। দুজনেই সহপাঠী।
চিনের যে উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস, সেখান থেকে ফিসে এসেছেন ওঁরা দুজন। গুজরাতের শ্রেয়া জায়মান ও ব্রুন্দ প্য়াটেলকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ উড়ানে চাপিয়ে, আরও অনেকের সঙ্গে। ভারতে নিয়ে আসার পর ওঁদের দুজনকে দিল্লির একটি জায়গায় কোয়ারাইটাইন করে অর্থাৎ আলাদা করে রাখা হয়েছিল। পরে নিজেদের রাজ্য়ে ফিরে আসেন দুজনে।
ওই দুই পড়ুয়া সেখানকার মেডিকেল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের শ্রেয়া আর ব্রুন্দা। গুজরাতে ফিরে এসে তাঁরা জানান, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর, প্রথম একমাস চিন কার্যত বিষয়টিকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি। পরে যখন গুরুত্ব দিল, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
উহান থেকে তাঁদের বিশেষ বিমানে করে এদেশে নিয়ে আসার জন্য় দুজনেই ধন্য়বাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শেষ দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের অন্তর্গত উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। মনে করা হয়, বাদুড়ের মাংস থেকেই ছড়িয়েছে এই রোগ। ক্রমাগত রোগটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। চিনে থেকে যাওয়া ভারতীয়দের এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে করে ভারতে নিয়ে আসা হয়। শুধু চিনই নয়। ক্রমে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। যার প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতেও।
প্রসঙ্গত, চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, গোড়ায় তারা রোগটিকে গুরুত্ব দেয়নি। আর তাই তা মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ে দেড়হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণ নিয়েছে সেখানে। এমনকি যে চিকিৎসক সবচেয়ে প্রথম এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেন সরকারকে, তাঁকেও সরকারের রোষে পড়তে হয়। কিছুদিন আগে মারা যান ওই চিকিৎসক নিজেও। এমতাবস্থায়, চিন যে প্রথমদিকে রোগটিকে গুরুত্ব দেয়নি, সেই অভিযোগকেই একপ্রকার মান্য়তা দিলেন ওই দেশ থেকে ফিরে আসা দুই পড়ুয়া।