কাজকস্থানের প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবথেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশের বৃহত্তম শহর আলমাটিতে। সেখানে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা একাধিক সরকারি ভবনের দখল নিয়েছে। বেশ কিছু সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেদেশের আদালত বলেছেন এই ঘটনায় ক্ষুন্ন হচ্ছে শিশুদের অধিকার। কারণ বিক্ষোভে মৃত্যু হয়েছে তিনটি শিশুর, যারমধ্যে একটি ৪ বছরের শিশু কন্যাও রয়েছে।
বিক্ষোভে উত্তাল কাজাকস্থান (Kazakhstan)। গত এক সপ্তাহে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশের রাষ্ট্র সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। কাজকস্থানের প্রশাসন অবশ্য রবিবার সকালে বলেছিল ১৬ জন পুলিশ বা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। ২৬ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
কাজকস্থানের প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবথেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশের বৃহত্তম শহর আলমাটিতে। সেখানে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা একাধিক সরকারি ভবনের দখল নিয়েছে। বেশ কিছু সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেদেশের আদালত বলেছেন এই ঘটনায় ক্ষুন্ন হচ্ছে শিশুদের অধিকার। কারণ বিক্ষোভে মৃত্যু হয়েছে তিনটি শিশুর, যারমধ্যে একটি ৪ বছরের শিশু কন্যাও রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আগের তথ্য অনুযায়ী বিক্ষোভের কারণে আহতে হয়েছিল ২২০০ জন। যাদের অধিকাংশের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ১৩০০ নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছে। কাজাক প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা সরকারি ভবনগুলি পুণরুদ্ধার করা হয়েছে। তারমধ্যে কয়েকটি সরকারি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করাছে সেদেশের সরকার। সোমবার থেকে পুনরায় চালু করা হয়েছে আলমাটি বিমান বন্দর। এটিও দখল করে নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচহাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে কতজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
কাজাকস্থানের প্রশাসন জানিয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশে দেশের বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। পরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হলেও দেশের বেশ কিছু সমস্যার কারণে আন্দোলন চরম আকার নিয়েছিল। কারণ অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল। সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে বিক্ষোভের কারণে এখনও পর্যন্ত ৪৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের সবথেকে বড় শহর আলমাটি থেকে শুরু করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আগেই বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে কাজাক প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে কাজাক প্রেসিডেন্টে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে হিংসার বিরোধিতা করেছে চিন। রাশিয়া ও চিন দুটি দেশই কাজাকস্থানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।