দুর্ণীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
১২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ
রায় ঘোষণার পরেও অভিযোগ অস্বীকার
ওয়ান এমডিবি দুর্ণীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে মালেশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে। কুয়ালালামপুরের আদালত তাঁকে ১২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্ণীতির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রথম সাতটি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে আস্থাভঙ্গ করা, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাটি দুর্ণীতিবিরেধী প্রচেষ্টা অঙ্গ হিসেবেই দেখা হয়েছে সেদেশে। তবে উচ্চ আদালতে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করতে পারবেন তিনি।
ওয়ানএমডিবি বা ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভলমেন্ট বেরহাদ কেলেঙ্কারি মূলত বিশ্ব জালিয়াতি বা দুর্ণীতিতে দেশটিকে সম্পৃক্ত করার বিষয়য়টি উন্মোচিত হয়েছে। ৪২ মিলিয়ন রিঙ্গিত অর্থাৎ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠান হয়েছিল তৎকালীন মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ নাজিবের অ্যাকাউন্টে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সময় বিপুল পরিমাণে অর্থ তছরুপের ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ।
আবারও লাদাখ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে চিন, প্রশ্ন লাল ফৌজদের কতটা বিশ্বাস করা যায় ...
যদিও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এই দুর্ণীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁকে সেই সময় ভুল পথে চালিত করা হয়েছিল। আর সেই জন্য তিনি তৎকালীন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও ধনকুবের ঝা লোর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। বর্তমানে ঝা লো পতালক। মালয়েশিয়ার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আবারও লাদাখ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে চিন, প্রশ্ন লাল ফৌজদের কতটা বিশ্বাস করা যায় ...
ধর্ষণ, গর্ভপাত কিছুই বাদ যায় না কিমের রাজত্বে, শতাধিক মুক্তিপ্রাপ্ত মহিলার জানালেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা .
মালয়েশিয়ার আর্থিক উন্নতির জন্যই এয়ানএমডিবি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রকল্পের অর্থ তছরুপ করে বিলাশবহুল বাড়ি, গাড়ি. প্রাইভেট জেট কেনার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি হলিউডে ছবি প্রয়োজনা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরুদ্ধপন্থীরা। ২০১৮ সালের নির্বচনে নাজিব রেজাকের পরায়জের পিছনেই এই দুর্নীতি একটি বড় করাণ ছিল বলে মনে করেন মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।