পাঁচ বছর আগেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন না ৩৯ বছরের ঋষি সুনক। বৃহস্পতিবারের পর তিনিই চালাবেন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিকে। কারণ, ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হলেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনক।
বৃহস্পতিবার নিজের মন্ত্রিসভার রদবদল করেন বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেখানেই সুনককে দেশের অর্থমন্ত্রক সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাশেই ১১ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে কাজ করবেন সুনক।
একদিন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস জন,নের সঙ্গে বিরোধিতার জেরে পদত্যাগ করেন তিনি। আর তাতেই ব্রিটিশ সরকারে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার সুযোগ পেয়ে যান সুনক।
বর্তমানে আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেল ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নিযুক্ত রয়েছেন। তারপরেই বরিস জনসন সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন ঋষি।
বহুদিন আগে সুনকের পূর্বপুরুষরা পঞ্জাব থেকে পূর্ব আফ্রিকায় চলে যান। পরে সেখান থেকে ব্রিটেনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে ৩৯ বছরের সুনক ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ডের সাংসদ। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রিটেনের সাংসদ হন সুনক। হ্যাম্পশায়ারে জন্মানো সুনকের আরেকটি পরিচয় তিনি ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এনআর নারায়ণমূর্তির জামাই। নারায়ণমূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে ২০০৯ সালে বিয়ে হয় সুনকের।
গত বছরের জুলাইতে বরিস জনসন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর ট্রেজারির প্রধান সচিব করে ঋষি সুনককে নিয়ে আসেন। কয়েকদিন বাদেই ব্রিটেনের জাতীয় বাজেট। তার আগেই ইস্তফা দেন অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ। এরপরেই সুনককে চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার হিসেবে নিযুক্ত করেন বরিস। যা ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর সমতুল্য হিসেবেই পরিগণিত।
ঋষি সুনক উইনতেস্টার কলেজের পাঠ শেষ করার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশওনা করেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেন। সুনকের বাবা চিকিৎসক, মায়ের নিজের ওষুধের দোকান রয়েছে। রাজনীতিতে আসার আগে গোল্ডম্যান শ্যাখস ও হেজ ফান্ডের মতো বিখ্যাত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে নিজের সংস্থাও খোলেন তিনি।