দাদাগিরি করছে নেপালও, মানচিত্রের পর এবার জোর করে বন্যা-বিপর্যয় চাপাচ্ছে ভারতের উপর

Published : Jun 22, 2020, 04:39 PM IST
দাদাগিরি করছে নেপালও, মানচিত্রের পর এবার জোর করে বন্যা-বিপর্যয় চাপাচ্ছে ভারতের উপর

সংক্ষিপ্ত

ভারতের উপর দাদাগিরি করতে চাইছে নেপালও সীমান্ত নিয়ে বিরোধ তো আছেই পাশাপাশি জোর করে প্রায় বিহারের ঘাড়ে বন্যার বিপর্যয় চাপিয়ে দিচ্ছে তারা সীমান্ত এলাকার একটি বাঁধ মেরামতি নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর  

শুধু চিন নয়, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে নেপাল-এরও। তাদের নয়া মানচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ভারতের জন্য নতুন বিপদের হুমকি তৈরি করল নেপাল সরকার। লাল বকেয়া নদীতে তারা বাঁধ মেরামতির কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় বিহার এখন বন্যার আশঙ্কায় কাঁপছে। বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা জানিয়েছেন লাল বকেয়ার নদীর উপর যে গন্দক বাঁধ, তার মেরামতির কাজ নেপাল নিজেও করছে না, ভারতীয়দেরও করতে দিচ্ছে না।

লালবাকেয়া নদীটি দুই দেশের মাঝখানে 'নো ম্যানস ল্যান্ড' এ অবস্থিত। তারপর এর অববাহিকা ধাবিত হয়েছে বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলা দিয়ে। দুই দেশের মাঝে নদীটির উপর গন্দক বাঁধ রয়েছে। এই বাঁধের ৩৬ টি লকগেটের ১৮ টি রয়েছে নেপালে, বাকি ১৮টি ভারতের দখলে। ভারতে, এই বছরও ১ নম্বর গেট থেকে ১৭ নম্বর গেট পর্যন্ত মেরামত করেছে। কিন্তু, নেপালের হাতে থাকা ১৮ থেকে ৩৬ নম্বর গেট পর্যন্ত বাঁধটি মেরামত করা হয়নি। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা তা করতে চাইলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। মেরামত সামগ্রী নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই অঞ্চলটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

এমনটা এর আগে কখনও ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী। স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, এর আগে যখনই ওই বাঁধ মেরামতের কাজ হয়েছে, আগে নেপাল ও ভারতীয় কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সব বিরোধ মিটিয়ে নিতেন তবে এই বছর তা হয়নি। সমাধান তো দূরে থাক, নেপালি সশস্ত্র সীমা বাহিনীর কড়াকড়িতে বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে। এদিকে ২০১৭ সালে নেপালে প্রবল বৃষ্টির ফলে লালবাকেয়া নদীর প্রবল জলোচ্ছাসে এই বাঁধটি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তার মেরামতির কাজ এখনও সম্পূর্ণ করা যায়নি। এই অবস্থায় এই বছরও ভারি বৃষ্টি হলে বিহার ভেসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মন্ত্রী সঞ্জয় ঝা।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

আওয়ামি লিগের যোগদান নিষিদ্ধ, বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা
গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ, পাকিস্তানের প্রাক্তন ISI প্রধানের জেল