সম্পূর্ণ করোনা-মুক্ত কেটেছে ১০২ দিন, ফের কঠোর লকডাউন জারি নিউজিল্যান্ডে


১০২ দিন পর ফের নিউজিল্যান্ডে করোনা আতঙ্ক

জারি করা হল লকডাউন

এর আগে সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত অবস্থায় কেটেছিল ১০০ দিনের বেশি

অর্থনীতিতেও পডড়েনি মহামারির কোনও প্রভাব

amartya lahiri | Published : Aug 11, 2020 2:12 PM IST / Updated: Aug 13 2020, 01:27 PM IST

কেটে গিয়েছিল ১০২ দিন। এরমধ্যে একজনও করোনাভাইরাস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি নিউজিল্যান্ডে। সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস মহামারি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেই সময় করোনার কথা প্রায় ভুলতেই বসেছিল কিউই-র দেশ। কিন্তু, নিউজিল্য়ান্ড করোনাকে ভুলে গেলে কী হবে, করোনা নিউজিল্যান্ডকে ভোলেনি। মঙ্গলবার ফের দেশব্যপী কঠোর লকডাউন জারি করতে বাধ্য হল তারা।

জানা গিয়েছে ওয়েলিংটনে একই পরিবারের চার সদস্য করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসাবে সনাক্ত হয়েছেন। কীভাবে এতদিন পর তাঁরা ফের সংক্রামিত হলেন, এই প্রশ্নটাই ভয় ধরাচ্ছে কিউইদের। এই নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর আসার পরই ফের দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে দেশে কড়া লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। ওই পরিবারের চার করোনা আক্রান্ত সদস্যকেই স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে তাঁরা কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা ধরে সবাইকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।

অথচ একদিন আগেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল। গোটা বিশ্বের সামনে কড়া হাতে করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সেরা উদাহরণ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। মার্চ মাসের শেষদিকে য়ে সময় ভারতে প্রথম লকডাউন জারি হয়েছিল, সেই সময়ই কঠোরভাবে লকডাউন প্রয়োগ করেছিল নিউজিল্যান্ডও। সেই সময়, কিউই-র দেশে করোনা আক্রান্ত ছিলেন মাত্র ১০০ জন। একেবারে শুরুতেই এই কঠোর পদক্ষেপে কাজও হয়েছিল দারুণ। গত রবিবারই একটিও করোনা রোগী ছাড়া ১০০ দিনে পা রেখেছিল তারা। মহামারী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞান এবং ভালো রাজনৈতিক নেতৃত্বের মেলবন্ধনে মিরাকল করেছে নিউজিল্যান্ড।

করোনা মহামারি শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করে দেশে-বিদেশে প্রশংসা পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। লকডাউনের সময় প্রতিদিনই তিনি নিজে পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করতেন। গত তিনমাসে করোনার ভয় কাটিয়ে আবার জীবনে ছন্দে ফিরছিল নিউজিল্যান্ড। ইতিমধ্য়ে এই দেশে শুরু হয়ে গিয়েছিল খেলাধূলা। মানুষজন বার-রেস্তোঁরায় যাতায়াতও শুরু করেছিলেন। আর তার জন্যই মহামারির সময়ে যেখানে প্রায় সব দেশই অর্থনীতি ধরে রাখতে লেজেগোবরে হচ্ছে, সেখানে নিউজিল্যান্ড বেকারত্বের হারকে চার শতাংশে ধরে রাখতে পেরেছিল। তবে নতুন সংক্রমণ পরিস্থিতি বিগরে দেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

 

Share this article
click me!