কোভিড-বিশ্বে দারুণ খবর, ভ্যাকসিন আসার আগেই পাওয়া গেল করোনা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর দাওয়াই

প্রায় এক বছর হতে চলল দাপট দেখাচ্ছে কোভিড-১৯ মহামারি

এখনও কোনও কার্যকর টিকা কিংবা প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি

এই অবস্থায় আশার আলো দেখালো সাম্প্রতিক এক গবেষণা

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে নাইট্রিক অক্সাইড

amartya lahiri | Published : Oct 17, 2020 3:47 AM IST / Updated: Oct 29 2020, 12:43 PM IST

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় এক বছর হতে চলল। এখনও সার্স-কোভ-২ 'এর বিস্তার রোধ করতে পারে এমন কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তৈরি করা যায়নি। ক্লিনিকালি অনুমোদিত একটা ভ্যাকসিনের জন্য দমবন্ধ করে অপেক্ষায় রয়েছে সবাই। এই অবস্থায় আশার আলো দেখালো সাম্প্রতিক এক গবেষণা। এই গবেষণায় উঠে এসেছে নাইট্রিক অক্সাইড, কোভিড-১৯ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল চিকিত্সার মতো কার্যকর হতে পারে।

নাইট্রিক অক্সাইড, একটি সেল-সিগন্যালিং অণু যা মানব শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই উত্পাদিত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড অণু একটি ভাসোডায়ালেটর, অর্থাৎ এটি রক্তনালীগুলিকে ফুলিয়ে রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরে এই গ্যাসের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব রয়েছে। সেইসঙ্গে, নাইট্রিক অক্সাইডের অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। যা আগে সার্স মহামারির সময়ও দেখা গিয়েছিল, হার্পিস-সহ অন্যান্য কয়েকটি ভাইরাসের ক্ষেত্রেও তা দেখা গিয়েছে।

সম্প্রতি সুইডেনে পরিচালিত একটি গবেষণায় সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে নাইট্রিক অক্সাইড শুধু কোভিড রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সহায়ত করে তাইই নয়, সার্স-কোভ-২ অর্থাৎ নতুন করোনাভাইরাস-এর ছড়িয়ে পড়াও রোধ করতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। ইন-ভিট্রো এবং ছোট আকারের ক্লিনিকাল গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, নাইট্রিক অক্সাইড প্রোটেস নামে একটি এনজাইম তৈরিতে বাধা দেয়। এই প্রোটেস-ই করোনাভাইরাসকে তার অনুলিপি তৈরি করার মূল উপাদান। কাজেই প্রোটেস না তৈরি হলে করোনার বংশবৃদ্ধিও আটকে যায়, থমকে যাযয় সংক্রমণ।

এই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে, সুইডেনের গবেষণা দলটির বিজ্ঞানীরা তাত্ত্বিকভাবে বলেছেন নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস ইনহেল করলে অর্থাৎ নাক দিয়ে টেনে নিলে কোভিড-১৯-এর গুরুতর রোগীদের রক্ষা করা যেতে পারে। এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর চিকিত্সায় ক্লিনিকাল ব্যবহারের জন্য আবেদন এই গ্যাস কার্যকর হতে পারে।

২০০৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, সার্স মহামারির ভাইরাসটির অনুলিপি তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিরোধ তৈরি করেছিল নাইট্রিক অক্সাইড। নতুন করোনাভাইরাসটিও একই পরিবারের, কাজেই তাঁদের দাবি খুব অসঙ্গত হবে, এমনটা মনে করছেন না বিজ্ঞানী মহলের কেউই। কোভিড-১৯ এর গুরুতর জটিলতা থাকা রোগীদের আচমকা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এই অবস্থায় যতক্ষণ না একটি কার্যকর ভ্যাকসিন আসছে, ততদিন কোভিড-১৯ চিকিত্সার একটি কার্যকর ফর্ম হিসাবে নাইট্রিক অক্সাইড ইনহেল করা করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি বড় আশা বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Share this article
click me!