কোনও রকম হ্যাকিং হয়নি। সোমবার তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করল পেগাসাস স্পাইওয়ার।
কোনও রকম হ্যাকিং হয়নি। সোমবার তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করল পেগাসাস স্পাইওয়ার। এই ইসরায়েলি এনএসও গ্রুপ জানিয়ে দিল বেশ কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিক এবং কর্মীদের ফোন হ্যাক করার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর।যে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার সঙ্গে সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই।
এক বিবৃতি প্রকাশ করে ওই ইসরায়েলি সংস্থা জানিয়েছে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। এরকম কোনও ঘটনার সঙ্গে পেগাসাস যুক্ত নয়। পুরোপুরি অনুমানের ওপর তৈরি করা হয়েছে এই ধরণের অভিযোগ। এনএসও গ্রুপ জানিয়েছে যে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনও সত্য ভিত্তি নেই এবং সংস্থাটি মানহানির মামলা করার কথা ভাবনা চিন্তা করছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ানসহ প্রায় ১৬টি মিডিয়া পেগাসাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ফোন থেকে তথ্য চুরি করা হয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় এক ডজনেরও বেশি দেশ এই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি চালাচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে জানান হয়েছে। সবকটি রিপোর্টেই প্রায় সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ইসরায়েলি সংস্থা জানিয়েছে যে তথ্যসূত্রের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে। এমনকী প্রতিবেদনে যে দাবিগুলি করা হয়েছে, তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এই দাবিগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি রিপোর্টটি। তাই মানহানির মামলা করা হবে।
ইসরায়েলের সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও (NSO) গ্রুপ পেগাসাস তৈরি করেছে। ২০১৬ সাল থেকেই এটি সক্রিয়। এটি একটি সফটওয়ার। ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা পেগাসাস ব্যবহার করে তথ্য ফাঁস করা হয়েছে বলে একগুচ্ছ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে এনএসও গ্রুপ জানিয়েছে তাঁদের তৈরি করা প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক পাচার বিরোধী পদক্ষেপ, নিখোঁজ ও অপহৃত শিশু উদ্ধার, নারী পাচার রোধের মত কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। শত্রু দেশের মারণ ড্রোনের গতিবিধি চিহ্নিত করা সম্ভব তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় ফোন থেকে তথ্য চুরির জন্য পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছিল। তালিকায় রয়েছে সাংবাদিক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সমাজকর্মীরাও। ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত এই সফ্টওয়্যার বিক্রি সীমাবদ্ধ ছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। আরও জানানো হয়, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, নেটওয়ার্ক১৮-য়ের মত সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন ও কাশ্মীরের নেতাদের টার্গেট করা হয় হ্যাকিংয়ের জন্য।