১৫ জুন গালওয়ানের সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনা
চিন অবশ্য তাদের কতজন সেনার মৃত্যু হয়েছে তা জানায়নি
তবে সেই রাতে নিহত এক সেনার সমাধীপ্রস্তরের ছবি ভাইরাল হয়েছে
যা থেকে মিলেছে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য
গত ১৫ জুন, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন। ওই রাতে তাঁদেরও বেশ কিছু সৈন্যের মৃত্যু হয়েছিল বলে স্বীকার করলেও ঠিক কতজন হতাহত হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তারা আর কিছুই জানায়নি। মার্কিন ও অন্যান্য দেশের গোয়েন্দাদের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল অন্তত চিনা পিএলএ-র অন্তত ৪০ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল গালওয়ানে। এবার সেই সৈন্যদের সমাধীর ছবি ভাইরাল হল।
চিনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এম টেলর ফ্রেভেল সম্প্রতি দাবি করেছেন, দাবি করেছেন চিনা মাইক্রোব্লগিং সাইট 'ওয়েইবো'তে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে, যা গালওয়ানে নিহত এক চিনা সেনার সমাধি-প্রস্তরের ছবি। সেই সমাধি-প্রস্তরের লেখা বলছে সমাধীটি এক ১৯ বছর বয়সী চিনা সৈনিকের। ২০২০ সালের জুন মাসে 'চিন-ভারত সীমান্ত প্রতিরক্ষা সংগ্রামে'-এ মৃত্যু হয়েছে ফুজিয়ান প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণ সেনার। ওই সৈনিক ৬৯৩১৬ ইউনিটের সদস্য। টেলর-এর মতে সম্ভবত সেটি গালওয়ানের উত্তরে, চিপ-চাপ উপত্যকায় মোতায়েন 'তিয়ানওয়েন্ডিয়ান সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী'।
তবে ইউনিটটি চিনা পিএলএ-র ১৩ তম বর্ডার ডিফেন্স রেজিমেন্টের অংশ-ও হতে পারে বলে মনে করছেন টেলর। ২০১৫ সালে চিনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন এই ইউনিটটির নাম রেখেছিল 'ইউনাইটেড কমব্যাট মডেল কোম্পানি'। এই সমাধী যে শুধু চিন সেনাদের মৃত্যুর নিশ্চয়তাই দিয়েছে তা নয়, একইসঙ্গে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা পিএলএ-র কোন ইউনিট মোতায়েন রয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি টেলরের।
টেলরের শেয়ার করা ছবিটি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। দাবি করা হচ্ছে সেগুলি গালওয়ানে হতদেরই সমাধী। একটি ছবিতে চেলরের শেয়ার করা ছবির সমাধী প্রস্তরের মতো বেশ কয়েক সারি সমাধী প্রস্তর দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক গণনায় সংখ্যাটা ৫০-এর বেশি বলে মনে হচ্ছে। একটি স্মারক স্তম্ভের ছবিও দেখা গিয়েছে।
গালওয়ানের সংঘর্ষের পর ভারত ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসাব দিলেও, চিনের পক্ষ বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়েছিল। এমনকী, নিহত সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযথভাবে তাঁদের শেষকৃত্যও সম্পন্ন করতে দেওয়া হয়নি বলে বেজিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে নিহত সৈন্যদের আত্মীয় পরিজনরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভও হয়েছিল।