মহামারীতে গৃহবন্দি মন আর টিকছে না, স্বচক্ষে না দেখেই ৪৭ কোটি টাকায় হোয়াটসঅ্যাপে বিক্রি হল দ্বীপ

  • মহামারীতে বাড়ছে ব্যক্তিগত দ্বীপ কেনার প্রবনতা
  • আয়ারল্যান্ডে বিক্রি হল এমনি একটি দ্বীপ
  • স্বচক্ষে না দেখেই দ্বীপটি কিনলেন এক ইউরোপিয়ান
  • ওই ক্রেতা এক ভিডিও ট্যুরের মাধ্যমে দ্বীপটি পছন্দ করেন

Asianet News Bangla | Published : Jul 16, 2020 2:47 PM IST / Updated: Jul 16 2020, 08:21 PM IST

আয়ারল্যান্ডের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের কূলবর্তী ওয়েস্ট কর্কে বুকোলিক আতলান্তিক অঞ্চলের অন্তর্গত রোরিং ওয়াটার বে-তে রয়েছে ১৫৭ একর বিস্তৃত একটি দ্বীপ। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এই দ্বীপ হর্স আইল্যান্ড নামেই বিশ্বে পরিচিত। করোনা মহামারীর দুনিয়ায় সেই দ্বীরই এবার বিক্রি হল ৬.৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি দামে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনার আগে ব্যক্তিগতভাবে লোকেশনটি দেখেননি সেই ক্রেতা।

একে বিশ্ব জুড়ে চলছে মহামারি। তারওপর লকডাউনের জেরে ঘর থেকে বেড়িয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ারও  পরিস্থিতি নেই। কিন্তু মন করছে উড়ু উড়ু। তাই ইউরোপিয়ান এক ব্যক্তি দ্বীপটি স্বচক্ষে না দেখেই কিনে ফেললেন এক ইউরোপিয়ান ব্যক্তি। তবে কেনার আগে অবশ্য  ভিডিও ট্যুারের মাধ্যমে দ্বীপটি পছন্দ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ২০৫০ সালের আগেই জনসংখ্যার নিরিখে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে ভারত, জানেন কত হতে চলেছে সেই সংখ্যাটা

জানা যাচ্ছে, তিনটি সৈকত, সাতটি বাড়ি আর প্রাকৃতিক বনভূমি ও বন্যজীবন দিয়ে ঘেরা হর্স আইল্যান্ড বিক্রির বেশিরভাগ কথাবার্তা সম্পন্ন হয় হোয়াটসঅ্যাপে। অজ্ঞাত ওই ক্রেতা এক ভিডিও ট্যুারের মাধ্যমে দ্বীপটি পছন্দ করেন। অজ্ঞাতনামা ইউরোপীয় ওই  ক্রেতা স্বচক্ষে না দেখেই কিনে নিয়েছেন দ্বীপটি।

দ্বীপের মালিকানা হস্তান্তরে সাহায্য করা মন্তাগ রিয়েল এস্টেটের কর্ণধার থমাস বালাশেভ বলেন, ‘‌ওই ব্যক্তি (ক্রেতা) ভিডিও দেখেই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যান। তিনি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে এমনই একটি দ্বীপ চেয়েছিলেন। হর্স দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাঁকে আকৃষ্ট করে। দ্বীপ কেনার আগে তিনি একবারও সেই জমিতে পা রাখেননি। কেবলমাত্র সেখানকার ভিডিও দেখেছেন।'

আরও পড়ুন: করোনা বিশ্বে আমেরিকা নয় বিল গেটসের ঘোড়া ভারত, ভ্যাকসিন নিয়ে আস্থা এদেশের ফার্মা কোম্পানিগুলির উপর

জানা গিয়েছে, ওই দ্বীপে সাতটি বাড়ি রয়েছে। প্রধান বাড়িতে ৬টি বেডরুম রয়েছে। এছাড়া রয়েছে একটি পিয়ার, হেলিপ্যাড, জিম, টেনিস কোর্ট, একটি প্লে-হাউস। বাড়িতে নিজস্ব বিদ্যুৎ, জল ও নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে তিনটি সৈকত, একটি কৃষি ও চারণভূমি ও সর্বোপরি দুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

মহামারীর কারণে এখন ট্রেন্ড হয়েছে, লোকালয় থেকে দূরে জায়গা কেনা বা ভাড়া নেওয়ার। তার একটি বড় উদাহরণ এই ঘটনাটি। 

Share this article
click me!