বুধবারই স্বমূর্তি ধারণ করল তালিবানরা। আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিবাদীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালালো তারা।
বেশিদিন সাধু সেজে থাকা সম্ভব হল না তালিবানদের পক্ষে। বুধবারই তাদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে গেল। এদিন, আফগানিস্তানের জালালাবাদ সরকারি কার্যালয়গুলির উপর তালিবানি পতাকার পরিবর্তে ফের আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা লাগানোর রাস্তায় নেমেছিলেন অকুতোভয় সাধারণ মানুষ। সম্ভবত গত কয়েকদিনের 'তালিবান ২.০' বা 'নয়া তালিবান' এই তত্ত্বে আস্থা রেখেছিলেন। হয়তো ভেবেছিলেন, কিছু পরিবর্তন হয়েছে চরমপন্থী দলটির। কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্বিচারে গুলি চালালো তালিবানিরা।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা পাঝওক আফগান নিউজ, এই ঘনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছে, তালিবানরা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে গুলি চালায় এবং সেই বিক্ষোভের খবর করতে যাওয়া কয়েকজন চিত্র সাংবাদিককে মারধরও করে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনার একাধিক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে শয়ে শয়ে মানুষ আফগানিস্তানের পতাকা হাতে একটি মিছিল বের করেছেন। তাদের হাতে ছিল আফগান জাতীয় পতাকা। এরপর আচমকাই গুলির শব্দ শোনা যায়। বিক্ষোভকারীরাও ওই এলাকা থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনায় হতাহতের দাবি করা হলেও, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতেও কিছু জানানো হয়নি।
২৬ বছরের হয়েছিলেন মেয়র, এখন খুন হওয়ার অপেক্ষায় - ছবিতে ছবিতে চিনে নিন দুর্ধর্ষ আফগান যুবতীকে
আরও পড়ুন - নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর হাতে চুরমার রাজা রঞ্জিত সিং-এর মূর্তি, পাকিস্তানেও পড়ল তালিবানি ছায়া
আপও পড়ুন - কাবুলে ঢুকে পড়ল জইশ-লস্কর-আইএস জঙ্গিরাও, তালিবানদের সঙ্গে হতে পারে মুখোমুখি সংঘর্ষ
তালিবানরা ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর, মঙ্গলবারই চারজন আফগান মহিলার একটি দল, তাদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলিতে, দেখা গিয়েছে চারিদিকে সশস্ত্র তালিবান যোদ্ধারা তাদের ঘিরে রয়েছে। তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে নির্ভয়ে ওই মহিলারা হাতে লেখা পোস্টারে সামাজিক সুরক্ষা, কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকার এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অধিকার সহ তাদের বিভিন্ন অধিকারের দাবি জানাতে দেখা গিয়েছিল। ওই মহিলাদের পরিণতি কি হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।