ডোকালাম এলাকায় রাতারাতি গ্রাম তৈরির অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে, চিন সাংবাদিকের দাবিতে জল্পনা

  • ভূটান সীমান্তের মধ্যেই গ্রাম তৈরি করেছে চিন 
  • ডোকালম সীমান্ত থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে 
  • চিনা গ্রামের নাম পাংদা 
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি চিনা সাংবাদিকের 
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 20, 2020 3:53 AM IST / Updated: Nov 20 2020, 01:06 PM IST


পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় সেনা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চিনের নজর রয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের সিকিম সীমান্তেও। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিজিটিএন-এর প্রবীণ সাংবাদিক শেন শিউইয় বেশ কতগুলি ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি দাবি করেন, তাঁরা একটি নতুন গ্রাম তৈরি করে থাকতে শুরু করেছে। পাংদা ভিলেজ বলে গ্রামটিকে চিহ্নিত করেন তিনি। যেটি ইয়াদং থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে বলেও  সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেলিনে তিনি। পাশাপাশি তিনি এরটি ম্যাপও দিয়েছিলেন।

চিনা সাংবাদিকের এই দাবি নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ ছড়ায়।  বেশ কয়েক জন সমর বিশেষজ্ঞ দাবি করেন চিনা সাংবাদিক যে গ্রামটির কথা বলছেন সেটি মানচিত্র অনুযায়ী  ভূটান সীমান্তের ২ কিলোমিটার ভিরতে তৈরি করা হয়েছে। যার অর্থ হল চিন ভূটান সীমান্ত অধিগ্রহণ চালাচ্ছে। চিনা সাংবাদিকের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে তা ভারতের কাছেও রীতিমত উদ্বেগের বিষয় হবে। কারণ পাংদা গ্রাম থেকে ডোকালম সীমান্তের দূরত্ম মাত্র ৯ কিলোমিটার। ২০১৭ সালে সিকিম সীমান্তের এই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে উত্তাপ অব্যাহত ছিল। 

বিশেষজ্ঞদের কথায় চিন পাংদা গ্রাম তৈরি করাকে ভারতীয় ও ভূটানী ভূখণ্ডকে অধিগ্রহণের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এপ্রিল মাস থেকে  লাদাখে চিনা সেনার আগ্রাসন  প্রতিহত করছে ভারত। পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় চিনা সাংবাদিকের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে চিনা সাংবাদিকের দাবি কতটা সত্যি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেল থেকে তিনি ছবি-সহ তার পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন। একটি সূত্র বলছে এদিন সকালেই পোস্টটি করেন চিনা সাংবাদিক। পোস্টটি করার কিছুক্ষণেক মধ্যেই তা তিনি মুছে ফেলেন। কী কারলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন তা নিয়ে মুখ খোলেননি সিজিটিএন  এর সাংবাদিক  শেন শিউই। 

Share this article
click me!