দাতশিন, জাতীয় অপেরার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই যুক্ত ছিলেন। তিনি ওই সংস্থার প্রধান নৃত্যশিল্পি হিসেবে কাজ করেতেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
যুদ্ধের ক্ষত ক্রমশই বাড়ছে ইউক্রেনে (Ukraine)। রাশিয়ান (Russia) হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইউক্রেনের ব্যালে তারকা আর্টিওম দাতশিন (Ballet star Artyom Datsishin)। তিনি মধ্য ইউক্রেনের বাসিন্দা ছিলেন। সপ্তাহ তিনেক আগে রাশিয়ার ছোঁড়া গোলা-গুলিতে আহত পেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলষ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার ৪৩ বছরের এই তারকার মৃত্যু হয়ে। ইউক্রেনের একটা সংবাদ পোর্টাল পিপিল ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড এই খবর জানিয়েছে।
দাতশিন, জাতীয় অপেরার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই যুক্ত ছিলেন। তিনি ওই সংস্থার প্রধান নৃত্যশিল্পি হিসেবে কাজ করেতেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণার পরেও কিয়েভে নিজের বাড়ি ছেড়ে যাননি দাতশিন। কিয়েভের একটি আবাসিক ভবনে ছিলেন তিনি। কিন্তু রাশিয়ার রকেট হানায় তিনি আহতে হয়েছিলেন কয়েক দিন আগে। তারপর চিকিৎসকরা শত চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে রুশ আগ্রাসন। ইউক্রেনের দাবি রাশিয়ার এই হামলার কারণে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে শরনার্থী হয়ে অন্যত্র চলে গেছে। যাদের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়ে পোল্যান্ডের শরণার্থী শিবিরে। এখনও পর্যন্ত প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে প্রায় ৬০০ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই যুদ্ধে। আহতের সংখ্যা ১ হাজার। ইউক্রেনে বর্তমানে রুশ সেনা বাহিনী আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। গুঁড়িয়ে দিচ্ছে স্কুল ও সংস্কৃতিকেন্দ্রগুলি। রুশ হামলার থেকে রেহাই পায়নি শিশু হাসপাতালও।
রাশিয়ার হামলার কারণে বিপর্যস্ত ইউক্রেন। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে একাধিক শান্তি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও বৈঠকেই সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে আবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্টকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নিজের ভুল সংশোধনের জন্য এটাই হবে পুতিনের শেষ সুযোগ।
অন্যদিকে শি-বাইডেন মাত্র তিন মিনিটের কথা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চিনকে পাশে টানতে মরিয়া চেষ্টা করছে আমেরিকা । চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ চ্যানেল সিসিটিভি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনের উত্তরে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক কখনই সামরিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে পারে না। পাল্টা আমেরিকার প্রেসিডেন্টে বাইডেন বলেছেন এই অবস্থায় চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ আন্তর্জাতিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া। বাইডেন আরও বলেছেন, শান্তি ও নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবথেকে মূল্যবান সম্পদ। তবে শি জিংপিং-বাইডেনের কথাবার্তা থেকে এখনও স্পষ্ট নয় যে ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে চিন। বা বেজিং সরাসরি ক্রেমলিনের সমালোনা করবে। কিন্তু চিন নিয়ে এখনও পর্যন্ত আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শি-বাইডেন মাত্র তিন মিনিটের কথা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চিনকে পাশে টানতে মরিয়া আমেরিকা
যোগীর শপথে উত্তর প্রদেশে বসতে চলেছে চাঁদের হাট, মোদীর সঙ্গেই মঞ্চে দেখা যেতে পারে সনিয়াকে