ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজে আগুনের লেলিহান শিখা, একদিকে কাত হয়ে রয়েছে জাহাজটি, ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে সেই জাহাজ।
মাঝ সাগরে একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ। যেভাবে রাশিয়ার হামলার একের পর এক জবাব দিয়ে চলেছে ইউক্রেন, তা দেখে অবাক গোটা বিশ্ব। দিন কয়েক আগেই কৃষ্ণ সাগরের পথ দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। তার ফল ভোগ করতে হয়েছে। কিয়েভের পাল্টা মারে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের সলিল সমাধি ঘটেছে। কীভাবে ডুবল সেই বিশাল জাহাজ, ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
যদিও ছবিগুলি এখনও যাচাই করা হয়নি। আদৌও সেগুলি ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের পতনের ছবি কীনা, তা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজে আগুনের লেলিহান শিখা, একদিকে কাত হয়ে রয়েছে জাহাজটি, ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে সেই জাহাজ।
যদিও ইউক্রেনের সেনা জানাচ্ছে, যে তাদের বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জাহাজে আঘাত করেছে, কিন্তু ওই যুদ্ধজাহাজ মস্কোভাতে হামলার কথা স্বীকার করেনি রাশিয়া। ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের সলিল সমাধি যে ঘটেছে, তা স্বীকার করছে না ক্রেমলিন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধ জাহাজ মস্কভা আগুন লাগে। তার জেরেই বিস্ফোরণ হয়। ওডেসার গভর্নর জানিয়েছেন, ইউক্রেনিয় সেনা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তার জেরেই ধ্বংস হয়েছে রুশ জাহাজ। প্রসঙ্গত এই ওডেসা শহর দখলের জন্যই জলপথে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, স্ন্যাক আইল্যান্ডে হামলা করতে গিয়েছিল মোস্কভা নামের একটি যুদ্ধ জাহাজ। তারা সেখানে গিয়ে ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের অনুরোধ করে। এরপরেই ইউক্রেন জাহাজে হামলা চালায়। তবে গোটা বিষয় অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তাদের দাবি জাহাজে থাকা অস্ত্রভান্ডারে আগুন লাগে। সেই আগুনের কারণে জাহাজে থাকা অস্ত্র ক্রমান্বয়ে ফাটতে শুরু করে। জাহাজের সব কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পরে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনীয়দের বলেছিলেন যে রাশিয়ানরা তাদের শেষ করে দেওযার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের সময় চেয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেন তা হতে দেয়নি। রাশিয়াকে আঘাত করে তবেই তারা মরছেন। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নানা অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। কিন্তু রাশিয়ার এই যুদ্ধজাহাজকে ডুবিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব একা ইউক্রেনের। কারণ, যে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধজাহাজকে তছনছ করেছে ইউক্রেন, তা সেদেশের প্রযুক্তিতে তৈরি নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র। মস্কোভার ডুবে যাওয়ার রাশিয়ার গর্বে বড় আঘাত বলেই মনে করা হচ্ছে।
Moskva-এর বৈশিষ্ট্য কি ছিল?
স্নায়ুযুদ্ধের সময় শুরু হওয়া, মস্কভা এন জর্জিয়া, সিরিয়া এবং ইউক্রেনের সংঘাতের সময় রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছিল। ১৬টি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল বহনে সক্ষম এই যুদ্ধজাহাজটি ৬১১.৫ ফুট বা ১৮৬ মিটার লম্বা ছিল এবং এতে অতিরিক্ত ৬২ জন অফিসার সহ ৪৭৬ জন ক্রু ছিল।