নতুন বছরের শুরুতেই মৌসুমী বৃষ্টি, ভাসছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী

 

  • নতুন বছরের শুরুতেই বন্যা ইন্দোনেশিয়ায়
  • রাজধানী জাকার্তা সহ প্লাবিত সংলগ্ন অঞ্চল
  • মৌসুমী বৃষ্টির কারণেই বন্যা পরিস্থিতি
  • নতুন বছরের উৎসবের মধ্যেই শুরু হয় বৃষ্টি

Asianet News Bangla | Published : Jan 2, 2020 11:05 AM IST / Updated: Jan 02 2020, 04:43 PM IST

বছরের শুরুতেই বিপর্যয় ইন্দোনেশিয়ায়। মৌসুমী বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত রাজধানী জাকার্তা ও সংলগ্ন অঞ্চল। বন্যায় এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

আরও পড়ুন: ফের রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড, ধ্বংসস্তূপে আটকে দমকলকর্মীরাও

নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য উৎসবে মেতেছিলেন জাকার্তাবাসী। সেই সময়ই তৈরি হয় এই বন্যা পরিস্থিতি। বন্যা প্লাবিত অঞ্চলে হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

 

 

গত বুধবার যখন নতুন বছর উপলক্ষ্যে আকাশে আলোর খেলা চলছিল সেই সময়ই শুরু হয় বৃষ্টি। মৌসুমী বৃষ্টিতে নদীর জল উপচে প্লাবিত হয়েছে ৯০টি এলাকা। রাজধানী জাকার্তার উপকন্ঠে অবস্থিত কোতা দিপক শহরে দেখা দেয় ভূমিধস। 

বন্যার কারণে জাকার্তা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটকে পড়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি যাত্রী। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে রাজধানীর অধিকাংশ অঞ্চল। জলের নীচে ডুবে গিয়েছে অধিকাংশ রাজপথ। বন্যার হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয়শিবিরে রয়েছেন ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে একই দিনে দু'বার গণধর্ষণ তরুণীকে, দক্ষিণবঙ্গের দত্তপুকুরেও লালসার শিকার যুবতী

নতুন বছরের শুরুতে গড় বৃষ্টিপাতের তিনগুণ বর্ষণ হয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। সামনের দিবগুলিতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।  

 

 

পাম্প করে ইতিমধ্যে বন্যা দুর্গত অঞ্চলগুলিতে জল তোলার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন ১ লক্ষ ২০ হাজার উদ্ধারকর্মী। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বাস করেন এক কোটি মানুষ, আর শহরতলীতে বাস তিন কোটি মানুষের। 

Share this article
click me!