মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ন্যাশানাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসার পারসিভারেন্স মার্স রোভার লাল গ্রহে সূর্য গ্রহণের সাক্ষী থেকেছে। রোভারই তুলেছে মহাজাগতিক ঘটনার একটি ভিডিও।
পৃথিবী থেকে সূর্য গ্রহণ- মহাগাতিক সেই দৃশ্যে আমরা অনেকেই দেখেছি। সূর্য যখন ঢাকা পড়ে যায় তখন সেই হীরের আংটির মত দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু ভাবুনতে কেমন লাগে মঙ্গল বা লাল গ্রহণ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখতে? মহাকাশ বিজ্ঞান আপনার সেই ইচ্ছেও পুরণ করে দিল। কারণ নাসার পাঠান রোভায় তেমনই বিরল দৃশ্য ক্যাপচার করে পাঠিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-তে। নাসা সেই ভিডিও আপলোড করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ন্যাশানাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসার পারসিভারেন্স মার্স রোভার লাল গ্রহে সূর্য গ্রহণের সাক্ষী থেকেছে। রোভারই তুলেছে মহাজাগতিক ঘটনার একটি ভিডিও। যাতে স্পষ্ট হয়েছে মঙ্গল গ্রহের চাঁদ কিন্তু পৃথিবীর চাঁদের মত গোল নয়। মঙ্গলের চাঁদ অনেকটা আলুর মত আকৃতির। তাই মঙ্গলের চাঁর সূর্য আর মঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ই এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে।
নাসা জানিয়েছেন এই ভিডিওটি বিজ্ঞানীদের সুবিধে করে দিয়েছে লাল গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বুঝতে। পাশাপাশি চাঁদের কক্ষপথ সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারনা পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে লাল গ্রহের ভূত্বক আর আবরণের আকৃতি সম্পর্কিত ধারনাও বিজ্ঞানীরা করতে পারবেন।
নাসার মতে নতুন শটগুলি এমন একটি ঘটনার শক্তিশালী দৃশ্য তুলে ধরে যা মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে এর আগে কোনও দিন দেখা যায়নি। নাসার এক কর্তা জানিয়েছেন এত ভালো করে মঙ্গল থেকে সূর্য গ্রহণের ছবি রোভার ক্যাপচার করতে পারবে তিনি একা কল্পনাও করতে পারেননি। এক বিশেষজ্ঞ রোভারের পাঠান ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন সূর্য গ্রহণ প্রায় ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। এটি পৃথিবী থেকে দেখতে পাওয়া সূর্য গ্রহণের থেকে অনেক কম সময়ের গ্রহণ ছিল। কারণ মঙ্গলের চাঁদ ফোবস পৃথিবীর চাঁদের তুলনায় প্রায় ১৫৭ গুণ ছোট। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন মঙ্গলে মাধ্যাকর্ণষ শক্তির জন্য ছোট ছোট জোয়ারের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি মঙ্গলের থাকা পাথরগুলির আকৃতিও পরিবর্তন হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে আগামী দিনে আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে মঙ্গলের ভূপ্রকৃতির গঠন সম্পর্কে। মঙ্গলের মাটি কতটা নরম তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে।
দিন কয়েক আগেই মঙ্গলবারই নাসা এই স্টিল ছবিটি পোস্ট করেছে। ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ ছবিটি দেখে তারিফ করেছেন। অনেকেই এটিকে আলৌলিক বা নৈসর্গিক দৃশ্য বলে দাবি করেছেন। ছবিটি আবার অনেকে দেখেই ইতিটানেননি। সেটিকে দ্রুত শেয়ার করেছেন। যাইহোক মহাকাশ নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাঁদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ছবিটি। আপনি এখনও ভাবছেন তো এটি কিসের ছবি- আর অপেক্ষা করতে হবে না।
উল্কাপাতের সঙ্গেই ভিনগ্রহীরা আসে পৃথিবীতে, নিশ্চিত করেছে মার্কিন স্পেস কমান্ড
আপনি কী বলতে পারেন এটি কিসের ছবি, নেটিজেনরা বলছে ভিনগ্রহীর পায়ের ছাপ
একই সারিতে চার গ্রহ, কীভাবে খালি চোখে দেখবেন মাঝ আকাশের মহাজাগতিক দৃশ্য