তালিবান সুপ্রিমো হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদাকে নিয়ে রহস্য বাড়ছে, জল্পনায় জল ঢাললেন দলের মুখপাত্র


হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদাকে নিয়ে রহস্য ক্রমশই বাড়ছে। দলের প্রধানের গতিবিধি নিয়ে ধোঁয়াসা রয়েছে। তবে তালিবানদের দাবি কান্দাহারে রয়েছেন তিনি। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 29, 2021 6:26 PM IST

প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেল কাবুলের পতন হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান নেই তালিবান সুপ্রিমো হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে কোথায় রয়েছেন তিনি। যদিও একটা সময় রটনা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হানায়  তিনি নিহত হয়েছেন। তবে তালিবানরা কাবুল দখলের পর ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছে তালিবান সুপ্রিমো পাক সেনা বাহিনীর হেফাজতে পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। কিন্তু এদিন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ জানিয়েছেন আফগানিস্তানেই রয়েছেন হাইবাতুল্লাহ। 

জাবিউল্লাহ জানিয়েছেন তালিবান নেতা কান্দাহারে রয়েছেন। কাবুলের পতনের সময় থেকেই সেখানে রয়েছেন  বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি জাবিউল্লাহ আরও বলেছেন খুব তাড়াতাড়ি তিনি জনসমক্ষে আসবেন। মহরমের সময় হাইবাতুল্লাহর একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল তালিবানরা। সেখানে শুধু শুভেচ্ছা বার্তাই ছিল। অন্য কোনয়ও বার্তা ছিল না। তাই স্বভাবতি আখুনজাদাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এমনিতে তিনি খুব কমই জনসমক্ষে এসেছেন। তালিবানরাও তাঁকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখতেই অভ্যস্ত। তাঁর একটি মাত্র ছবি তালিবানরা প্রকাশ করেছে। এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের সিংহভাগ দখল করেছে তালিবানরা। কাবুল দখলের পর বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা আফগানিস্তানে এসেছেন বলে সূত্রের খবর। একাধিক নেতা সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও বার্তা দেননি হাইবাতুল্লাহ। তাই তালিবান সুপ্রিমোকে নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমশই বাড়ছে। 

২০১৬ সালে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তালিবানদের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। অত্যন্ত সংকটের সময় দলের গুরুদায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই তালিবানরা দীর্ঘ দিন ধরে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে গেছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারনা দক্ষ সংগঠন আখুনজাদ। তবে তার গতিবিধি নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক তালিবানরা। তালিবানদের সুপ্রিম কমান্ডার। ১৯৬১ সালে জন্ম। ২০১৬ সালের আগে সামরিক নেতা থেকে একজন ধর্মগুরু হিসেবেই তাঁর পরিচিত ছিল। কিন্তু তাঁর পূর্বসূরি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হলে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব চলে আসে তাঁরই হাতে। সেই সময় থেকেই তালিবানদের শীর্ষ নেতা হিসেবেই তাঁর নাম উঠে আসে। খুব সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হাইবাতুল্লায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তেমনভাবে কোনও দিনও আসেননি। জনসমক্ষেও তাঁকে খুব কম দেখা যায়। তাঁর গুটিকয়েক ছবি হাতে সামনে এসেছে। চলতি বছর মে মাসে তাঁর সর্বশেষ বক্তব্য প্রকাশ্যে এসেছিল। তালিবানদের একটি সূত্র বলছে আফগানিস্তানে শাসনব্যবস্থায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন। 
 

Share this article
click me!