ব্যবসা রাখতে চিনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে মরিয়া টিকটক, ট্রাম্পের মত পেতে একাধিক পদক্ষেপ

চিনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে মরিয়া টিকটক
চিনের বাইরে খোলা হচ্ছে অফিস
ম্যানেজমেন্ট বদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা

Asianet News Bangla | Published : Jul 10, 2020 10:41 AM IST

৫৯টি চিনা অ্য়াপের তালিকাভুক্ত হওয়ায় প্রথমে ভারত নিষিদ্ধ করেছিল টিকটক। তারপর মোদীর দেখান পথে  হেঁটে মার্কিন মুলুকেও কোপ পড়েছে টিকটকে। ব্যাবসা লাটে ওঠার জোগাড় চিনা অ্য়াপ প্রস্তুতকারী সংস্থার। ব্যাবসা বাঁচাতে এবার অন্যপথে হাঁটার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে টিকটক। যাতে প্রকাশ্যে আসে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের সঙ্গে টিকটকের দূরত্ব। আর সেই মত কর্পোরেট পরিকাঠামোও পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে সংস্থা সূত্রে জানান হচ্ছে। 


এখনও পর্যন্ত সংস্থার মূল অফিস বেজিং-এ। সংস্থার এক অধিকর্তা জানিয়েছেন বেজিং থেকে দূরত্ব বাড়ানোর জন্য টিকটকের জন্য একটি নতুন পরিচালনা বোর্ড তৈরি করা হচ্ছে। চিনের বাইরে অ্যাপের জন্য পৃথক একটি সদর দফতর স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

ছোট ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে টিকটক অনবদ্য। অল্প সময়ের মধ্যে রীতিমত জনপ্রিয়তা আর্জন করেছিল। সংস্থার এক কর্তার কথায় টিকটককে বিশ্বব্যাপী করার জন্যই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও বলেছেন তিন, টিকটকের নিজস্ব সদর দফতর বাইট্যান্স থেকে আলাদা নয়। এর অফিস চিনের কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে। সংস্থার পাঁচটি অফিস রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, ডাবলিন ও সিঙ্গাপুরে। 

টিকটকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, সংস্থাটি ব্যবহারকারী, কর্মচারী, শিল্পী ও অংশীদারদের কথা মাথায় রেখেই সমস্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। নীতিনির্ধারকদেরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। 

তবে এই অ্যাপ নিয়ে মার্কিন-চিন ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়েছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন টিকটক ব্যান করার পরিকল্প গ্রহণ করছে হোয়াইট হাউস। বিশ্বে টিকটকের সবথেকে বেশি গ্রাহক মার্কিন মুলুকে। ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে মাইক পম্পেয় বলেছেন টিনা কমিউনিস্ট পার্টির হাতে পড়তে না চাইলে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড না করাই শ্রেয়। 

করোনাভাইরাসের থেকেও ভয়ঙ্কর 'অজ্ঞাত নিউমোনিয়া', সতর্ক করল কাজাকস্থানের চিনা দূতাবাস ...

ইতিমধ্যেই টিকটকের মাদার কনসার্ন বাইটইডান্স আমেরিকান জাতীয় সুরক্ষা পর্যালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। যদিও টিকটকের দাবি তারা কখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে কোনও তথ্য সরবরাহ করেনি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন মানতে নারাজ। 

বিধায়ক হওয়ার সাধ অপূর্ণই থেকে গেল গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের, রাজনীতির ছত্রছায়ায় বহুবলী হয়ে ওঠার গল্প ...

প্রতিটি দেশের ২০ শতাংশ মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়াই লক্ষ্য, ২ বিলিয়ন ডোজ তৈরিতে জোর
দুই দেশের মধ্যে চলা অস্থিরতার থেকে বেরিয়ে নিজের ব্যবসা বাঁচাতে মরিয়া টিকটক। বিশ্বে টিকটের গ্রাহক সংখ্যা ২ মিলিয়নেরও বেশি। ভারতে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে টিকটক। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাতে কোপের মুখে না পড়তে হয় তারজন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থা। প্রশাসননিক স্তরে কথাবার্তার পাশাপাশি চিনা লগ্নি থেকেই দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিকাঠামোগত পরিবর্তন আনতে চিনে বসবাসকারী প্রাক্তন চিফ অ্যালেক্স ঝু জুনে অ্যাপটির দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন কেভিন মায়ারের হাতে। যিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা, ওয়াল্ট ডিজনির আধিকারিক ছিলেন। পাশাপাশি ওয়াসিংটন লবির কর্মকতাদের নিয়োগেও জোর দেওয়া হচ্ছে। 

Share this article
click me!