আত্মঘাতী জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইরাক। বৃহস্পতিবার বাগদাদে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়। সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুয়ায়ী, তেরহান স্কোয়ারের কাছে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়। সেখানে প্রাণ যায় প্রায় ২৮ জনের। আহতের সংখ্যা ৭৩। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশেই জারি করা হয়েছে লকডাউন। কিন্তু তারই মধ্যে এজাতীয় বিস্ফোরণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী প্রথম আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করে। তারপর সে বাজারের দিকে এগিয়ে যায়। তার চারপাশে যখন লোকজন জড়ো হয় তখন সে বিস্ফোরণ ঘটনায়। সেই ঘটনায় প্রায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বহু মানষের দেহ। ঘটনার রেশ কাটিয়ে ওঠার পর স্থানীয় বহু মানুষই জড়ো হয় ঘটনাস্থলে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ধীরে ধীরে এলাকায় ভিড় জমতে শুরু করে। তারপর একই জায়গায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয়। পরপর দুটি বিস্ফোরণে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গোটা জায়গাটি ঘিরে রেছে প্রশাসন। রাস্তায় লেগে রয়েছে রক্তের দাগ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। ইরাকের স্বারাষ্ট্র মন্ত্রক আহতদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকদের একজায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পরে ইরাক এজাতীয় হামলার মুখোমুখি হয়েছে বলেও জানান হয়েছে।
প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক থেকে ব়্যাডার গুঁড়িয়ে দিতে তৈরি ভারত, সফল পরীক্ষা HAWK-i এর ..
অবিশ্বাস্য, বিগত অর্থ বর্ষের তুলনায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক এর ব্যবসা ...
২০০৪ সালে এজাতীয় হামলা কোনও নতুন বিষয় ছিল না। কিন্তু ২০১৩ সালের শেষের দিকে মার্কিন আগ্রাসন কমে যাওয়ার পর এজাতীয় হামলার ঘটনা কমে যেতে যাকে। তাই বাগদাদের এই বিস্ফোরণের সঙ্গে ভোট প্রস্তুতির যোগ রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। কারণ চলতি বছর জুন মাসে ইরাকে সংসদীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা আল কাদেমি। তবে এদিনের হামলার দায় এখনও পর্যন্ত স্বীকার করে নেয়নি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে আইএস-এর হাত রয়েছে হামলার ঘটনায়।