কিরা রুডিকের একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তাকে বন্দুক হাতে দেখা যাচ্ছে।
রণডঙ্কা বাজছে গোটা বিশ্বজুড়েই। ক্রমেই জটিল হচ্ছে গোটা পরিস্থিতি। এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমশ গুরুতর হয়ে উঠছে। ইউক্রেনের নাগরিক ও নেতাদেরও রাশিয়ার মোকাবেলায় অস্ত্র তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে গত দুদিন ধরেই। এদিকে ইউক্রেনের সাংসদ কিরা রুডিকের একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়(picture of Kira Rudick has recently gone viral on social media)। যেখানে তাকে বন্দুক হাতে দেখা যাচ্ছে। কেইরা রুডিক অ্যামাজনের কোম্পানি রিংয়ের স্থানীয় শাখার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী রুডিক বর্তমানে রাজনৈতিক দল 'ভাইস'-এর নেত্রী।
২০১৯ সাল থেকে তিনি দেশের একজন গণ্যমান্য সাংসদও বটে। বর্তমানে দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি আমার দেশের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছি। আমাদেরকে কালাশনিকভ রাইফেল দেওয়া হয়েছে এবং যদি রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভে পৌঁছায় তবে আমরা তাদের দৃঢ়তার সাথে লড়াই করব এবং জবাব দেব। এখানে থাকা আমার দায়িত্ব। আমি এবং আমার ক্রু সশস্ত্র।” সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের রাইফেল হাতে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। ইউক্রেনের এই সাংসদ তার পোস্টে আরও লিখেছেন, “আমি কালাশনিকভ চালানো ও অস্ত্র চালানো শিখছি। এটি অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে কারণ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনি যে আমাদের এই সব করতে হবে। কিন্তু, আমাদের পুরুষরা যেভাবে দেশ রক্ষা করছে, ঠিক সেভাবে এখানকার নারীরাও প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের
আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রতি দেশেই ঘোষণা হয়ে যায় জরুরি অবস্থা। ইউক্রেনও বর্তমানে জরুরি অবস্থা চলছে। এদিকে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ইউক্রেন একটি নিয়ম কার্যকর করেছে যে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যারা যুদ্ধের জন্য সক্ষম বা যাদের সেনায় নিয়োগ করা যেতে পারে, তারা দেশ ছেড়ে যাবে না। রাশিয়া বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে এবং তা এখনও চলছে। উভয় পক্ষের মধ্যে একটি জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গোটা ঘটনার দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। এদিকে শক্তি ও সক্ষমতার দিক থেকে দেখতে গেলে রাশিয়ার থেকে অনেকটাই কম শক্তিধর ইউক্রেন। তবুও তাদের হার না মানা লড়াই অবাক করছে গোটা বিশ্বকে। তবে আমেরিকা গোটা ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় প্রশ্ন উঠছে তাদের ভূমিকা নিয়েও।