মানুষের তৈরি উল্কাবৃষ্টি! নাসার গবেষণায় ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পৃথিবী, বিপদ মঙ্গলেও
নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট মিশনের ফলে পৃথিবীতে উল্কাবৃষ্টি হতে পারে। ২০২২ সালে একটি গ্রহাণু ধ্বংস করতে গিয়ে তৈরি হওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকেই এই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার নতুন গবেষণায় অবাক করা তথ্য। হতে পরে মানুষের তৈরি উল্কা বৃষ্টি। নাশার একটি মিশনের কারণেই হতে পারে এই উল্কাবৃষ্টি।
নুাসার মিশন
নুাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট মিশনের কারণে উল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
মানুষের তৈরি উল্কার কারণ
২০২২ সালে NASA DART মহাকাশযান ইচ্ছেকৃতভাবে একটি ছোট্ট গ্রহণুতে ধাক্কা মেরেছিল। তাতেই তৈরি হয়েছে উল্কা।
মিশনের কারণ
নাসার তরফে বলা হয়েছে গ্রাহণুতে ধাক্কা মারার কারণে মহাকাশেই ধ্বংস হয়ে যায় মহাকাশ যান। গ্রাহাণুও ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তাতেই মহাকাশেই বিশাল ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়।
পৃথিবীর জন্য হুমকি
নাসার এই পরীক্ষার জন্য উল্কাবৃষ্টি হতে পারে পৃথিবীরে। নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান মহাকাশ যান আর গ্রহাণুর সংঘর্ষের কারণে মহাকাশে প্রায় ২ মিলিয়ন পাউন্ড শিলা ও ধুলো তৈরি হয়েছে। সেগুলি পৃথিবীতে উল্কা হিসেবে ঝরে পড়তে পারে।
পরীক্ষার কারণ
নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে NASA DART মিশনের কারণ হল, যদি কোনও গ্রাহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে তাহলে মহাকাশযান দিয়ে সেটির কক্ষপথ পরিবর্তন করা যায় কিনা।
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা
আগামী ১০-৩০ বছরের মধ্যে এই উল্কা গুলি পৃথিবী আর মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে পারে। কণাগুলি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দৃশ্যমান উল্কা তৈরি করতে পারে। তা থেকেই উল্কাবৃষ্টি হতে পারে।
এক বছরের উল্কাবৃষ্টি
বিজ্ঞানীদের মতে যখন উল্কাবৃষ্টি শুরু হবে তখন তা চলবে প্রায় এক বছর ধরে।
বিজ্ঞানীর কথায়
পৃথিবী আর মঙ্গল- দুটি গ্রহেই নাসার পরীক্ষার কারণে লাগাতার উল্কাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্কা থেকে কতটা ভয়
বিশেষজ্ঞদের কথায় উল্কাগুলির আকার খুব একটা বড় হবে না। শস্য থেকে স্মার্টফোনের আকারে হবে। উল্কাগুলি যখন পৃথিবীতে পড়তে তখন সেগুলি মানুষের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।