হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পরই ভারতকে পেন্টাগন আট চাকার সাঁজোয়া যুদ্ধযান স্ট্রাইকার ও M777 টাওয়ার আপগ্রেডেশনের প্রস্তাব দিয়েছে। সাইবার সাহযোগিতার আশ্বাস আমেরিকার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফল ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সামরিকখাতে। কারণ মোদীর সফরের আগে থেকেই দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর মোদীর মার্কিন সফর বিশেষ করে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পরই ভারতকে পেন্টাগন আট চাকার সাঁজোয়া যুদ্ধযান স্ট্রাইকার ও M777 টাওয়ার আপগ্রেডেশনের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও Howitzers, MQ-9 রিপার ড্রোনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে মার্কিন সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভারত যাতে আগামী দিনে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে GE-F414 বিমানের ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে তা নিয়েও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
নতুন দিল্লি ও ওয়াশিংটন দুই দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্ট্রাইকার ও M777 - এই দুটি অস্ত্র ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী কী শর্ত আরোপ করছে তার ওপরেই নির্ভর করছে ভারত এগুলি গ্রহণ করবে কিনা। কিন্তু মোদীর এই সফরে ভারতের প্রতিরক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী মাইক্রোনের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের ভারতে ২.৭ মিলিয়ন ডলার চিফ প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও ভারত - মার্কিন আলোচনা হচ্ছে।
স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান- এই যুদ্ধযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আট চাকার ড্রাইভ ভি-হুল সাঁজোয়া পদাতিক যান। যা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থলভূমিতে বিশেষ কার্যকর। এটি ৩০ মিলিমিটার কামান ও ১০৫ মিলিমিটার মোবাইল বন্দুক দিয়ে সজ্জিত। স্ট্রাইকারটি আফগানিস্থানে তালিবানদের মোকাবিলায় মার্কিন সেনা বাহিনী ও ন্যাটো বাহিনীকে বিশেষ সাহায্য করেছিল। সূত্রের খবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রা ভারতকে এই যুদ্ধযান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত আত্মনির্ভর ভারতের অধীনেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে এখনও আগ্রহী।
M777 হাউইটজার আর্টিলারি - এটি ১৫৫ মিলিমিটার হাউইটজার। নির্দেশিত লং রেঞ্জে গোলাবারুদ-সহ আপগ্রেড করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটি ভারতের উত্তর সীমান্তে চিন আর পাকিস্তানের মোকাবিলার জন্য বিশেষ কার্যকরী হতে পারে। এই বন্দুক হালকা ওজনের। এটি জম্মু ও কাশ্মীর বা আরুণাডল প্রদেশ যে কোনও রাজ্যেই হেলিকপ্টারে করে দ্রুত আর সহজে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে ভারত। তবে মহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেমেস BAE এই সিস্টেমের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি আগেই করেছে।
সাইবার নিরাপত্তা- সাইবার নিরাপত্তায় ভারতকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রযুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়েও আশা প্রকাশ করেছে বাইডেনের দেশ। সূত্রের খবর এই বিষয়ে দুই দেশ একই সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিতে পারে।
F-414-
মোদীর মার্কিন সফরে সব থেকে বড় চুক্তি হল F-414 এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিন তৈরির প্রযুক্তি ভারতের হাতে হস্তান্তর করা। আসা করা যেতে পারে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত এই F-414 এয়ারক্রাফ্টের ইঞ্জিন দেশীয়ভাবে বা দেশের কারখানায় তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে ভারতকে আমেরিকা রিপার ড্রোনও দিতে পারে। যা সশস্ত্র ড্রোন। চিনের হাতে রয়েছে এজাতীয় ড্রোন। তাই এটি হাতে পারে চিনের মোকাবিলা করা ভারতের কাছে অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে।