ম্যানহাটনের ফৌজদারী আদালতের বিচারপতি জুয়ান মার্চান এই ট্রাম্পের কোম্পানিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করেছেন। সংস্থাকে .৬১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ ৬১ হাজার মার্কিন ডলার ফৌজদারী জরিমানা প্রদানের শাস্তি দিয়েছেন।
সমস্যা পিছু ছাড়ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের। শুক্রবার নিউইয়র্কের একটি আদালতের বিচারপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে ১.৬১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ ৬১ হাজার মার্কিন ডলার ফৌজদারী জরিমানা প্রদানের শাস্তি দিয়েছেন। আদালত ট্রাম্পের কোম্পানিকে ১৫ বছরের জন্য কর বিভাগকে প্রতারণা করার পরিকল্পনার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে।
ম্যানহাটনের ফৌজদারী আদালতের বিচারপতি জুয়ান মার্চান এই ট্রাম্পের কোম্পানিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করেছেন। এর আগে আরও ১৭টি ফৌজদারী মামলায় ট্রাম্পের দুটি সংস্থার সহযোগীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়ছিল। এখানেই শেষ নয়। বিচারক ট্রাম্পে ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে পরিচিত অ্যানেল ওয়েইসেলবার্গকেও পাঁচ মাসের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। ওয়েইসেলবার্গ ট্রাম্পের আর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি ট্রাম্প পরিবারের একাধিক আফিসিয়াল কাজের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ওয়েইসেলবার্গের সঙ্গে ট্রাম্প পরিবারের যোগাযোগ প্রায় ৫০ বছরের বেশি। প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের একজন সুসান নেচেলেস বলেছেন, ট্রাম্পের কোম্পানি আপিল করার পরিকল্পনা করছে।
ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ এখনও ট্রাম্পের ব্যবসার বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। তিনি সাংবাদিকদের বলছেন, এই সাজাই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও তাঁর ব্যবসার বিষয়ে তছরুপের অভিযোগ প্রমাণ করেছে। তবে এবার তদন্ত বন্ধ করার সময় এসেছে বলেও তিনি মনে করেন। তিনি জানান এবার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।
তবে জারিমানার টাকা বেশি বলে ট্রাম্পের সংস্থার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিচারপতি জানিয়েছেন ট্রাম্পের সংস্থার আয়ের কাছে জরিমানার অর্থ তেমন কিছু নয়। সংস্থার ছোট্ট আয়ের অংশ এটি। কোনও কোম্পানিকে জেল বা কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া যায় না। তাই জরিমানা করা হয়েছে।
তবে মার্কিন মুকুলে অনেকেই ট্রাম্পের সংস্থার আরও কঠোর শাস্তির আসা করেছিবেন। বিল ব্ল্যাক ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরি-কানসাস সিটি স্কুল অফ ল-এর একজন অধ্যাপক জানিয়েছেন,এটি একটি প্রহসন। এই শাস্তির জন্য কেউ এই ধরনের অপরাধ করা পরিত্যাগ করবে না। মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পক্ষে একটি কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর ট্রাম্প এই মামলাটিকে ডেমোক্র্যাটদের মাধ্যমে তাঁর ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হিসেবেই দেখাতে পছন্দ করতেন। তিনি নিজেকে রাজনীতির শিকার বলেও দাবি করেছেন।
আরও পড়ুনঃ
ভারতীর ছেলে কোলে মঞ্চ মাতালেন সলমন খান, ভাইজান দিলেন একটি বিশেষ উপহারও
দুই বন্ধুর প্রেমের জন্য স্পাইস জেটে বোমার ভুয়ো বার্তা, গ্রেফতার দিল্লির তরুণ
'তাহলে তুই কি জিন ?' জানুন রাহুল গান্ধী সম্পর্কে কেন এই মন্তব্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসির