পরমাণু অস্ত্রের পরিণতি কী হতে পারে, তার প্রমাণ এখনও জ্বলন্ত রয়েছে জাপান জুড়ে। সেই আতঙ্কই আবার উসকে দিল জো বাইডেনের দেশ।
১৯৪৫ সালে ‘লিটল বয়’ আর ‘ফ্যাট ম্যান’-এর আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল জাপান। ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল দুটি প্রধান শহর হিরোশিমা আর নাগাসাকি। আমেরিকার পাঠানো সেই দুই ব্রহ্মাস্ত্রের কথা এখনও ভোলেনি গোটা বিশ্ব। পরমাণু অস্ত্রের পরিণতি কী হতে পারে, তার প্রমাণ এখনও জ্বলন্ত রয়েছে জাপান জুড়ে। সেই আতঙ্কই আবার উসকে দিল জো বাইডেনের দেশ।
-
২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার দ্বিগুণ করে ১ হাজারেরও বেশি করে তোলার পরিকল্পনা করেছে চিন, সেই কথা প্রকাশ হয়ে পড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই পেন্টাগন ঘোষণা করল যে, ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও আরও ২৪ গুণ শক্তিশালী একটি নতুন পারমাণবিক বোমার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
-
ঘোষণা অনুযায়ী, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা আকর্ষিত বোমাগুলির সঠিক দিক-নির্দেশনার ক্ষমতা থাকে না। কিন্তু, এই নতুন বোমার সঠিক দিক নির্দেশ করে নিক্ষেপিত হওয়ার ক্ষমতা থাকবে। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটি আরও নির্ভুল হবে। উল্লেখ্য, এবিষয়ে আমেরিকার মহাকাশ নীতির সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব জন প্লাম্ব নতুন অস্ত্র নিয়ে আলোচনার সময় চিন বা রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেননি।
-
জন প্লাম্ব বলেছেন যে, আজকের ঘোষণা একটি পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিবেশ এবং সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিফলন। এখানেই প্রতিপক্ষ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে, সেই বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেননি। তাঁর বক্তব্য, 'যুক্তরাষ্ট্রের একটি দায়িত্ব রয়েছে যে, আমাদের বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা রাখতে হবে এবং পরিচালনা করতে হবে। প্রয়োজনে কৌশলগত আক্রমণের জবাব দিয়ে আমাদের বন্ধুদের আশ্বস্তও করতে হবে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।