মঙ্গলবারই ইমরান-জিনপিং-এর সঙ্গে ভার্চুয়াল টেবিলে নরেন্দ্র মোদী, কী ঘটতে চলেছে এসসিও বৈঠকে

শি জিনপিং ও ইমরান খানের সঙ্গে এক টেবিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

মঙ্গলবার এসসিও-র ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন

সেখানেই তীব্র উত্তেজনার মধ্যে মুখোমুখি হবেন তিন রাষ্ট্রনেতা

উপস্থিত থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও

amartya lahiri | Published : Nov 9, 2020 2:47 PM IST

কাশ্মীর, রাষ্ট্রীয় মদতে সন্ত্রাস, বালাকোট, ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন - এইরকম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলছে পাকিস্তানের সঙ্গে বিবাদ। পূর্ব লাদাখ-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে চিনের সঙ্গেও। এইরকম এক কঠিন পরিস্থতিতে মঙ্গলবার শি জিনপিং ও ইমরান খানের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানইজেশন বা এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে। এসসিও-র বিভিন্ন সমস্য়া ভুলে এখন এই সম্মেলনে চোখ সকলের এই তিন রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি হওয়ার মুহূর্তের দিকে।

চিন, কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান - এই আট সদস্য দেশ নিয়ে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন গঠিত। এই রাষ্ট্রজোটে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ রয়েছে। বিশ্বের মোট জিডিপির ২০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে এই জোটের সদস্যরাই। ন্যাটো-র পাল্টা শক্তিপুঞ্জ হিসাবে ২০০১ সালে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল। ভারত ও পাকিস্তান যোগ দেয় ২০১৭ সালে। এইবার এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রুশ রাজধানী মস্কোয়। বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-ও।

বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব আগেই জানিয়েছিলেন মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। সাধারণত এই ধরণের আন্তর্জাতিক শীর্ষ বৈঠকে, মূল বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন সদস্য দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হযে থাকে। এইবার ভার্চুয়াল ফর্ম্যাটে এই  শীর্ষ বৈঠক হওয়ায় সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কাজেই মূল বৈঠকেই পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে কতটা আগ্রাসী খেলেন নরেন্দ্র মোদী, তাই নিয়ে কূটনৈতিক মহলে দারুণ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

এই বছরের গোড়া থেকেই ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত দ্বন্দ্ব চলছে। গত মে মাসে গালওয়ানের ঘটনার পর তা চরমে পৌঁছেছিল। তারপর থকে উত্তেজনা কমাতে বারবার দুই পক্ষ এলএসি-তে সামরিক স্তরের আলোচনার পাশাপাশি কূটনৈতিক আলোচনাও চালিযে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও তা থেকে কোনও ইতিবাচক ফল মেলেনি। দুই দেশের কূটনীতিকরাই অবশ্য বারবার দাবি করেছেন দুই দেশের শীর্ষনেতারা দ্বন্দ্ব চান না। তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান। এর আগে চিনের উহানে এবং ভারতের মহাবলীপুরমে দুটি ঘরোয়া বৈঠকে শি জিনপিং-এর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সম্পর্কের রসায়নকে কাজে লাগিয়ে তিনি কি এই দ্বন্দ্ব অবসানের পথ খুলতে পারবেন? মস্কোর এসসিও প্ল্যাটফর্মে কিন্তু এই বিষয়গুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন।

Share this article
click me!