সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই পারে মহামারি রুখতে, টিকাকারণ নিয়ে বার্তা WHO-এর

Published : Jan 03, 2021, 02:01 PM IST
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই পারে মহামারি রুখতে, টিকাকারণ নিয়ে বার্তা WHO-এর

সংক্ষিপ্ত

টিকাকরণ শুরু হলেও আশঙ্কার করা কথা শোনাল হু সংস্থার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা  প্রয়োজনের তুলনায় ২০২১ সাল কম টিকা পাওয়া যাবে  করোনা সংক্রমণ রুখতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা জরুরি 

এক বছর হয়ে গেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে বিশ্ব। বিশ্বজোড়া এই মহামারির প্রভাব পড়েছে সামাজিক ও আর্থিক স্তরেও। এই অবস্থায় বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশই করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিনের অপেক্ষায় দিন গুণছে। ইতিমধ্যেই বেশকয়েকটি দেশে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। একের পর টিকায় অনুমোদনও দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। কিন্তু তাতেও ২০২১ সালে টিকার পরিমাণ  প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। সেই কারণেই টিকাকরণের পদ্ধতি নিয়ে এখন থেকেই সতর্ক করতে শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  ডক্টর কেট ও'ব্রায়ন জানিয়েছেন ২০২০ সাল থেকে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালে প্রথম দিকে অথবা পরের দিকে যে পরিমাণ টিকা পাওয়া যাবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। আর সেই কারণেই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজনে। তিনি বলেছেন প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা অত্যান্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বৃদ্ধ ও দীর্ঘদিন ধরে রোগে আক্রান্তদের টিকা দিতে হবে। বিশ্বের সবকটি দেশে যাতে সমানভাবে টিকাকরণ শুরু হয় সেদিকেই নজর রাখতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমিউনাইজেশন, টিকা ও বায়লজিক্যাল বিভাগের একজন ডাইরেক্টর। ফেসবুকে ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় টিকাকরণ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে পরিমাণে টিকা পাওয়া যাবে তা পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে মহামারির রুখে দিতে। বৈজ্ঞনিকভাবে টিকার ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকেই বিশ্বের সবকটি দেশের মানুষ যাতে করোনভাইরাসের টিকা পায় সেদিকে নজর দিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য সকলেরও টিকার প্রয়োজন রয়েছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের মানুষেরও টিকা পাওয়ার সমান অধিকার রয়েছে। পিছিয়ে পড়া দেশগুলির মানুষদের টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে জিএভিআই নামে একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে। হু-এর টিকা কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে এই সংস্থাটি রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিছিয়ে পড়াদেশগুলির টিকারকরণে গুরুত্ব দিচ্ছে বিল গেটসের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। 

PREV
click me!

Recommended Stories

৪০ মিনিট অপেক্ষার পরও দেখা হলো না রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে, পুতিনের ওপর চটলেন শাহবাজ শরিফ
LIVE NEWS UPDATE: মেসির কাছে দুঃখপ্রকাশ করে তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, মমতা গেলেন না যুবভারতীতে