চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে নৌ ও বিমান মহড়ার লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার উন্নতি এবং নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় যৌথভাবে তাদের সক্ষমতা জোরদার করা।
সোমবার চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিশেষ ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে চলতি মাসে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ নৌ ও বিমান মহড়ায় সামিল হতে চলেছে বেজিং। চিনের এই ঘোষণা থেকে বোঝা যায় দুই দেশের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে যে 'নর্দার্ন ইউনাইটেড-২০২৪' মহড়াটি জাপান সাগরে এবং সুদূর উত্তরে অবস্থিত ওখোটস্কের সাগরে অনুষ্ঠিত হবে, তবে সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়া হয়নি। এদিকে রাশিয়া ক্রমাগত ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে চিন কোনদিকে রয়েছে, তা তাদের ঘোষণা থেকেই স্পষ্ট।
উদ্দেশ্য কৌশলগত সহযোগিতা উন্নত করা
চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে নৌ ও বিমান মহড়ার লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার উন্নতি এবং নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় যৌথভাবে তাদের সক্ষমতা জোরদার করা। মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে উভয় নৌবাহিনী পঞ্চমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরে একসঙ্গে মহড়া শুরু করবে এবং রাশিয়ার 'গ্রেট ওশান-২৪' মহড়ায় একসঙ্গে অংশ নেবে।
'আমেরিকা ও ন্যাটো দেশগুলো দোষী'
চিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের সমালোচনা করতে অস্বীকার করে এর আগে। যুদ্ধ এখন তৃতীয় বছরে পদার্পণ করায়, চিন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উসকানি দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকে দায়ী করেছে। চিন সরাসরি রাশিয়াকে কোনো অস্ত্র দেয়নি, তবে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের বৃহত্তম ক্রেতা হিসেবে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার দিক থেকে মস্কোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে উঠেছে।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।