শূন্য মাধ্যাকর্ষনে প্রজনন কি সম্ভব ?উত্তর খুঁজতে মহাকাশে বাঁদর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলো চীন

শূন্য মাধ্যাকর্ষনে প্রজনন কি সম্ভব ?এবিষয় নিয়ে গবেষণামূলক পরীক্ষা করতেই এবার মহাকাশে বাঁদর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলো চীন।

Bhaswati Mukherjee | Published : Nov 6, 2022 2:18 PM IST

কুকুরের পর এবার মহাকাশ পাড়ি দেবে বাঁদর। শূন্য মাধ্যাকর্ষনে প্রজনন কি সম্ভব ? বা ঐরকম পরিবেশে প্রজনন পদ্ধতির ঠিক কিরকম পরিবর্তন ঘটে ? মূলত এবিষয় নিয়ে গবেষণামূলক পরীক্ষা করতেই এবার মহাকাশে বাঁদর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলো চীন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নামক এক সংবাদ মাধমের দাবি চীনের তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনই প্রথম এই বিষয়টি পরিকল্পনা করে ।তারপর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগোতে থাকে গবেষণা। এরপর মহাকাশে প্রজনন সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে , বিজ্ঞানীরা মহাকাশে বাঁদর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী গবেষণার কাজগুলিও তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের মডিউল দ্বারা পরিচালিত হবে বলে সূত্রের খবর।

এই পরীক্ষাগুলি মূলত মাইক্রোগ্রাভিটি এবং মহাকাশ পরিবেশের সঙ্গে জীবের অভিযোজন কিভাবে ঘটে তা আরও বিস্তারিতভাবে বোঝার জন্যই হচ্ছে। এবং একবার এতে সফল হলে এটি অভিযোজন সম্পর্কিত নানান রহস্য উন্মোচন করবে বলে দাবি বেইজিংয়ের চীনা বিজ্ঞান একাডেমির গবেষক ঝাং লুকের।

কোন কোন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে বা , কী ভাবে এই পরীক্ষামূলক গবেষণা চলবে-- এ নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তিহীন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাঁদরটিগুলিকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। মানসিক অবসাদের শিকার সম্ভাবনাও রয়েছে তাদের।শূন্য মাধ্যাকর্ষণে বানরদের প্রজনন প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। আর বানর যেহেতু বড় প্রাণী তাই মহাকাশ পরিবেশে তারা কিভাবে তাদের সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তা বুঝতেও বিজ্ঞানীদের বিশেষ সুবিধা হবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে বিজ্ঞানীরাও মনে করেন যে অধ্যয়নের সময়কালে বানরদের খাওয়ানো এবং তাদের বর্জ্য মোকাবেলা করা সত্যি একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। মহাকাশে চাপমুক্ত বা আরামদায়ক ভাবে থাকা, বানরটির পক্ষে একেবারেই সম্ভব হবে না।

চীনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন বর্তমানে দুইজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মহাকাশচারী - চেন ডং, কাই জুজে এবং লিউ ইয়াং- এবং এদের ক্রু মেম্বাররা এই পুরো গবেষণাটির তদারকির করছেন । নতুন পরিবেশে বাঁদরগুলি কীভাবে শারীরিক মিলন করছে সেই গতিপ্রকৃতির উপরও বিশেষ নজর রাখবে তারা। এমনকি, বাঁদরগুলোর খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে মলমূত্র ত্যাগের গতিপ্রকৃতিও পর্যবেক্ষণ করবেন বিজ্ঞানীরা ।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে এই মুহূর্তে তিন জন মহাকাশচারী রয়েছেন। চলতি বছরের জুন মাসে তাঁরা স্পেস স্টেশনে পৌঁছেছিলেন। বছর শেষের আগেই তাঁরা ফিরে আসবেন পৃথিবীতে।

আরও পড়ুন

তুতেনখামেনে সমাধি সৌধ আবিষ্কারের ১০০ বছর পূর্তি, একগুচ্ছ পরিকল্পনা মিশর সরকারের

৩.৭ কোটির বাড়ি কিনুন এবার মাত্র ২৮০ ইউরোয় ? ভাবছেন কি করে সম্ভব ? জানতে পড়ুন

ঠাকুমার গর্ভে নাতনির জন্ম ,মেক্সিকোর হক পরিবারের এই ঘটনা ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়

 

Share this article
click me!