রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক কার্যালয় থেকে একটি আপডেটে বলা হয়েছে, ৪৬৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৩৫টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকারীদের অনুমান ধ্বসে পড়া বাড়িগুলির নিচে কিছু লোক আটকে রয়েছে।
আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে গতকালের শনিবারের ভূমিকম্পে অন্তত ২০০০ জনের মৃতের সংখ্যা প্রকাশ্যে এসেছে। তালেবান সরকারের মুখপাত্র এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন। সেদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল ওয়াহিদ রায়ান বলেছেন যে হেরাতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট করা থেকে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। অবিলম্বে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ছয়টি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কয়েকশো মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক কার্যালয় থেকে একটি আপডেটে বলা হয়েছে, ৪৬৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৩৫টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকারীদের অনুমান ধ্বসে পড়া বাড়িগুলির নিচে কিছু লোক আটকে রয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। উল্লেখ্য, শনিবার হেরাত প্রদেশে চারটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে অতি দ্রুত উদ্ধারকাজ এবং চিকিৎসা-ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় সংস্থা, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র উদ্ধারকারী দল। মাটির তলা থেকে বহু মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে, কিন্তু, তাঁদের অধিকাংশকেই বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। হেরাত শহরের বাসিন্দা আব্দুল শাকোর সামাদি জানান, শনিবার দুপুরের দিকে ভূমিকম্পের পর অন্তত পাঁচটি শক্তিশালী আফটারশক হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজিও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর যথাক্রমে ৫.৫, ৪.৭, ৬.৩, ৫.৯ ও ৪.৬ মাত্রার পাঁচটি আফটারশক হয়, যার কারণে মানুষ আতঙ্কে পড়ে যায়।