এই গাছ এতটাই বিষাক্ত যে, কোনও পাতা যদি গাছ থেকে ছিঁড়ে নেওয়া হয় এবং অনেক বছর ধরে আলাদা কোথাও রেখে দেওয়া হয়, তারপর যদি কেউ সেটি স্পর্শ করে, তা হলেও সেই পাতা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দেবে।
মনে করুন আপনি কোনও গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন, আপনার শরীর সুস্থ রয়েছে, কিন্তু, আচমকা আপনার নাকে সর্দি অনুভূত হতে শুরু করল! এতক্ষণ আপনি সুস্থ থাকলেও হঠাৎ করে নাক থেকে জল গড়াতে শুরু করল একটু তার কিছুক্ষণ পর থেকে আপনি দুটো চোখেও ঝাপসা দেখতে শুরু করলেন, আপনার গলাও মারাত্মকভাবে শুকনো অনুভূত হতে শুরু করল, তার সঙ্গে ব্যাপকভাবে হাঁচি! তাহলে বুঝবেন, হাওয়ার সঙ্গে আপনার শরীরে ঢুকে গেছে এক মারাত্মক ধরনের বিষ।
-
একটা ছোট্ট গাছ, যার ছোট্ট ছোট্ট অংশ বাতাসের সঙ্গে মিশে মানুষের শরীরকে মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে, তার নাম গিম্পি-গিম্পি (Gympie Gympie)। তবে, এটি তো শুধু আক্ষরিক নাম, এর মানুষ-প্রদত্ত নাম হল ‘সুইসাইড প্ল্যান্ট’। কারণ, এর ছোঁয়া তো বটেই, এর কাছাকাছি থাকাও প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতার সমতুল্য। কিন্তু, কী এমন অভিজ্ঞতা দেয় এই ‘সুইসাইড প্ল্যান্ট’?
-
গবেষকরা জানাচ্ছেন, গিম্পি-গিম্পি গাছ যদি ত্বকের সঙ্গে লাগে, তাহলে তার অনুভূতি হয় শরীরে হাজার হাজার উত্তপ্ত লাল সুঁচ ফোটার মতো, সেটা মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য নয়, টানা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি একটানা বেশ কয়েক দিন ধরেও এর ভয়ঙ্কর অনুভূতি ত্বকে থেকে যেতে পারে। পাতার গায়ে থাকা হুল ত্বকের স্তরের নিচে থেকে যেতে পারে সারা জীবনের জন্য। লক্ষবার সাবান দিয়ে হাত ঢুলেও যাকে তাড়ানো যায় না। বেশিক্ষণ এর কাছাকাছি থাকলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। যার পরে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
-
গিম্পি গিম্পি গাছ এতটাই বিষাক্ত যে, কোনও পাতা যদি গাছ থেকে ছিঁড়ে নেওয়া হয় এবং অনেক বছর ধরে আলাদা কোথাও রেখে দেওয়া হয়, তারপর যদি কেউ সেটি স্পর্শ করে, তা হলেও সেই পাতা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দেবে। সাধারণত, কেউটে বা মাম্বার থেকেও এর বিষ দীর্ঘকাল পর্যন্ত কার্যকর থাকে। মূলত, অস্ট্রেলিয়ার গভীর জঙ্গলে দেখা যায় এই গাছ। তবে, সুখবর একটাই যে, সাধারণত এই গাছের ঝোপঝাড়ের সামনে সাবধানবাণী দিয়ে রাখে অস্ট্রেলিয়ান প্রশাসন।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।